শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির পরিণামে চাকরিবঞ্চিত টেট-উত্তীর্ণদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ১৯ অক্টোবর বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সমস্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের দাবি জানানো হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, সরকারের নিয়োগের কোনও সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, মেধা তালিকা প্রকাশ না করে চাকরিপ্রার্থীদের কার্যত কোর্টে যেতে বাধ্য করা হয়, আবার কোর্টের অজুহাতে নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী গত বিধানসভা অধিবেশনে প্রাথমিকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। তা সত্তে্বও টেট-উত্তীর্ণদের সকলকে নিয়োগের জন্য শূন্যপদ প্রকাশ করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪-তে যাঁদের চাকরি হয়নি, ২০১৭-তে যাঁরা পাশ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে ২০১২-র চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা যোগ করলে তা ২৫ হাজারের বেশি হবে না, যা শূন্যপদের সংখ্যার তুলনায় যৎসামান্য। তা হলে একসাথে নিয়োগ করা হবে না কেন?
তিনি অবিলম্বে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের সকলকে একত্রে নিয়োগের জন্য পদসংখ্যা প্রকাশ করে মেধা-তালিকার ভিত্তিতে দুর্নীতিমুক্তভাবে নিয়োগের দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এই আন্দোলনের সমর্থনে সমিতির পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সভার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন।