পণ্য পরিবহণ শিল্পে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা পি এফ, ই এস আই, এইচ আর সহ সমস্ত আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল৷ ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউনিয়নের নেতারা ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্তগুলিকে ধুলিসাৎ করে দ্বি–পাক্ষিক চুক্তি করে৷ ফলে পরিবহণ শিল্পে কার্যত চলছে জঙ্গলের রাজত্ব৷ এই অসহনীয় অবস্থায় জয় মাতাদি পরিবহণ প্রাইভেট লিমিটেড–এর শ্রমিকরা এআইইউটিইউসি অনুমোদিত ‘লরি ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী ইউনিয়ন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’–এর সদস্য হয়ে আন্দোলন শুরু করে৷ মিছিল–মিটিং–বস্থান্ আন্দোলনের পরেও কর্তৃপক্ষ দাবি সনদ নিয়ে এই ইউনিয়নের সাথে আলোচনায় বসতে সম্মত না হওয়ায় ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়া হয় এবং লেবার দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়৷ কর্তৃপক্ষের টালবাহানা ও দীর্ঘসূত্রতা মোকাবিলা করে ২৭ জানুয়ারি নিউ সেক্রেটারিয়েট শ্রমদপ্তরে ত্রি–পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়৷
সমস্ত শ্রমিককে পি এফ, ইএসআই এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়ার দাবি জয় মাতাদি পরিবহণ প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন– যা পরিবহণ শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য জয়৷ বছরে ১৫ দিন উৎসবের ছুটি ও ৩০ দিন আর্নড লিভও শ্রমিকরা পাবেন৷ প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতি বছর ১০০০ টাকা মাসিক বেতন বৃদ্ধি হবে৷ ইউনিয়নের সম্পাদক শান্তি ঘোষ বলেন, আন্দোলনের লক্ষ্য ও নেতৃত্ব সঠিক থাকলে আজও দাবি আদায় করা সম্ভব৷ এআইইউটিইউসি সারা ভারতে শ্রমিক আন্দোলনে বিপ্লবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে চলেছে৷ আজকের এই জয় শ্রমিক আন্দোলনে আপসমুখীনতা ও সংশোধনবাদী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা শ্রমিক আন্দোলনের জয়৷