বাইক-ট্যাক্সি চালকদের দীর্ঘ আন্দোলনের জয় ঘোষিত হল। এআইইউটিইউসি অনুমোদিত কলকাতা সাবার্বন বাইক-ট্যাক্সি অপারেটার্স ইউনিয়নের দাবি ছিল, বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবাকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের উপর পুলিশি জুলুম বন্ধ করতে হবে।
৬ এপ্রিল কলকাতার কসবায় পরিবহণ ভবনে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ও অ্যাপ-নির্ভর (ওলা, উবের, র্যাপিডো) কোম্পানিগুলির প্রতিনিধি এবং অ্যাপ-নির্ভর পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ করা হয়। এই বৈঠকে কলকাতা সাবার্বন বাইক-ট্যাক্সি অপারেটার্স ইউনিয়নের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শান্তি ঘোষ সহ দুই প্রতিনিধি।
এই বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী ‘আইনানুগ স্বীকৃতি’র ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে শান্তি ঘোষ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবার সামাজিক উপযোগিতার কথা বলে আসছি। এই পরিষেবাকে ‘আইনানুগ স্বীকৃতি’ প্রদান এবং এই পেশায় নিয়োজিত বাইক-ট্যাক্সি চালকদের পরিবহণ শ্রমিকের মর্যাদা প্রদান ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা ভারতের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রথম দুই চাকার ইউনিয়ন নথিভুক্ত করিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বাইক-ট্যাক্সিকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স প্রদান করার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা আন্দোলনের জয়। এর ফলে এই পেশায় নিযুক্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন। তিনি এই জয়ের জন্য সকল বাইক-ট্যাক্সি চালক, যাত্রীসাধারণ ও শুভানুধ্যায়ীদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আজও অ্যাপ-নির্ভর কোম্পানিগুলি (ওলা, উবের, র্যাপিডো) বাইকারদের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ‘সামাজিক সুরক্ষা’ সহ নানা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
আন্দোলনের এই জয়ের অভিনন্দন বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া ও আগামী দিনে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে ৭ এপ্রিল হাজরা মোড়ে বিজয় সমাবেশ হয়। হাজরা থেকে বাইক-ট্যাক্সি চালকদের বিজয় মিছিল যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত যায়।