দিল্লিতে এমন কিছু এলাকা ছিল যেখানে মদের দোকান ছিল না, সেখানে ৮৫০টি মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। মদ্যপানের বয়সও ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে।
দিল্লির আম আদমি সরকারের নতুন মদ নীতির বিরুদ্ধে ও সম্পূর্ণ মদ নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১৬ ডিসেম্বর এআইএমএসএস-এর দিল্লি শাখার উদ্যোগে যন্তর মন্তরে অনুষ্ঠিত হল মহিলা সম্মেলন। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত মহিলা এই আবগারি নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলছেন তাঁরাও এসেছিলেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যোগেন্দ্র যাদব, অধ্যাপক অপূর্বানন্দ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী গৌহর রাজা, অধ্যাপিকা নন্দিতা নারায়ণ, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সীতা সিং, সহ সভাপতি পুষ্পা চামেলি এবং সম্পাদক রিতু কৌশিক (ছবি)। সভাপতিত্ব করেন শ্রীমতি সারদা দীক্ষিত।
বক্তারা বলেন, নিজেদের ‘আম আদমি’র সরকার প্রচার করা কেজরিওয়াল সরকার প্রমাণ করল রাজস্বের স্বার্থে জনগণকে মদের নেশায় ডুবিয়ে রাখতে তারা প্রস্তুত।
মদ্যপান ও মাদক সেবনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে নারীদের ওপর। দেশে নারী ও মেয়েদের প্রতি অপরাধ ক্রমাগত বাড়ছে, গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনাও বাড়ছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অপরাধীরা ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করছে। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মদ্যপানে আসক্ত ব্যক্তিরা মদ কেনার জন্য গৃহস্থালির জিনিসপত্রও বিক্রি করে দিচ্ছে। বাড়ি থেকে টাকা না পেলে তারা মহিলাদের মারধর করতে শুরু করে। এভাবে নারীরা দ্বৈত হিংসার শিকার হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, নারী ও মেয়েদের প্রতি ক্রমবর্ধমান অপরাধের কারণে সমাজ চারদিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথ সংকুচিত হয়ে আসছে। চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না গরিব মানুষেরা। এই অবস্থায় জনগণকে কর্মসংস্থান, রেশন ও শিক্ষার সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, অথচ সরকার মদ দিচ্ছে। কারণ সরকার চায় না ছাত্র, যুবকরা দেশের এসব সমস্যা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুক। সরকার তরুণদের মদের নেশায় ডুবিয়়ে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা ধ্বংস করতে চায়, যাতে তারা তাদের সমস্যা নিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করতে না পারে। বক্তারা শুধু দিল্লিবাসীকে নয়, সমগ্র দেশের জনগণকে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।