ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি)–র ৫ মার্চের সার্কুলারের প্রতিবাদে দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচার্স ইউনিয়ন (ডুটা) ১১ মার্চ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে৷ সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সহ ৭ বামদলের জোটকেও তাঁরা আমন্ত্রণ জানান৷ বক্তব্য রাখেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)–এর প্রাণ শর্মা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই–এর অমরজিৎ কাউর, সিপিআই–এম এল লিবারেশনের কবিতা কৃষ্ণান, এআইএফবি–র জি. দেবরাজন প্রমুখ৷
ডুটার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কমরেড প্রাণ শর্মা বলেন, ইউজিসি–র এই সার্কুলার উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর পুনরায় একটি আঘাত৷ এই সার্কুলারের ফলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এসটি, এসসি, ওবিসি ভুক্ত প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন৷ বিজ্ঞাপিত ৩১১টি–র মধ্যে মাত্র ২১টি পদ তাঁদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে৷ যেখানে সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য ১৫৫টি পদ৷ তিনি বলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৪০০০ শিক্ষক নিয়োগকে অ্যাড হক করে রাখা হয়েছে৷ অথচ তাঁরা গত ১০–১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন৷ ডুটার আন্দোলনে এস ইউ সি আই (সি)–র পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার সহযোগিতার অঙ্গীকার করার সাথে সাথে তিনি এই সার্কুলার বাতিলের দাবিতে শিক্ষানুরাগী জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷
(৭০ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা ২২ জুন, ২০১৮)