দীর্ঘ তিন বছরের ব্যবধানে আবার অনুষ্ঠিত হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। দেশের রাজধানী শহরে এই নির্বাচন রাজনৈতিক ভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই সমস্ত বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই নির্বাচনে। বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি, কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউ(আই) উভয়ই সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতির সমর্থক। তথাকথিত বাম সংগঠনগুলির ভূমিকাও এবিভিপি বা এনএসইউ(আই) থেকে আলাদা কিছু নয়। এআইডিএসও একমাত্র সংগঠন যারা নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রতিরোধ এবং ছাত্রদের অন্যান্য সমস্যাগুলি সমাধানের দাবিতে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। শাসকদল মদতপুষ্ট এইসব ছাত্র সংগঠনগুলির অর্থবল ও বাহুবলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নীতি আদর্শ ভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এআইডিএসও-র ব্যতিক্রমী এই সংগ্রাম কেবল ছাত্র নয়, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের উপরও গভীর আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে এবং ছাত্রদের বিপুল সমর্থন পেয়েছে।
এই নির্বাচনে অর্থ ও বাহুবলের বিপরীতে নীতি আদর্শ ভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এআইডিএসও-র দিল্লি রাজ্য কমিটির পক্ষে রাজ্য সভাপতি কমরেড ডাঃ অনির্বাণ ও রাজ্য সম্পাদক কমরেড শ্রেয়া সকল ছাত্র শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়েছেন। আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ৪ অক্টোবর ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় চলো’র ডাক দেওয়া হয়েছে।