দাম না পেয়ে সংকটে আলু চাষিরা

৬ মার্চ কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি, অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠন, কৃষক ঐক্য মঞ্চ, কৃষক কল্যাণ সমিতির ডাকে যৌথভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা শহরের কার্জন গেট চত্বরে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।

জেলাশাসককে ছ’দফা দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। চাষিরা দাবি করেন, এখন আলু ওঠার সময়ে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা চরম বিপাকে। সরকার ৯ টাকা কেজি দরে আলু কেনার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু আলুর উৎপাদন খরচ তার থেকে অনেক বেশি। বিঘা প্রতি ৩৮ হাজার টাকা। সার, বীজ, কীটনাশকের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। চলছে ব্যাপক কালোবাজারি। ২৮০০ টাকা দামের বীজ কিনতে হয়েছে ৩২০০-৩৫০০ টাকায়। সার বস্তা পিছু ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অন্যান্য খরচ ধরে বিঘা প্রতি খরচ ৫০ হাজার টাকার বেশি। এক কুইন্টাল আলুর উৎপাদন খরচ কমপক্ষে ১২৫০ টাকা। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী উৎপাদন খরচের দেড়গুণ হারে কুইন্টাল প্রতি আলুর এমএসপি হয় ১৮৭৫ টাকা। রাজ্য সরকার আলুর দাম ঘোষণা করেছেন ৯০০ টাকা কুইন্টাল। যা উৎপাদন খরচের থেকে ৩৫০ টাকা কম। ফলে আলু চাষিরা ব্যাপক ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কৃষকদের দাবি, সরকারকে ন্যায্য দামে আলু কিনতে হবে। সার়ে কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। ২০২৩-‘২৪ সালে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের বকেয়া বিমার টাকা ১০০ শতাংশ দিতে হবে এবং সম্প্রতি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অনিরুদ্ধ কুণ্ডু, উৎপল রায়, মোজাম্মেল হক, সদানন্দ মণ্ডল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।