ত্রিপুর়ায় শিক্ষকদের উপর নৃশংস আক্রমণ চালাল বিজেপি সরকারের পুলিশ। ২৭ জানুয়ারি বিজেপি দেখিয়ে দিল সরকারে বসলে তাদের বর্বর, জনবিরোধী রূপ কীভাবে নগ্ন হয়ে ফুটে বেরোয়।
ত্রিপুরার ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক ৫১ দিন ধরে রাজধানী আগরতলায় সিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান করছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি তাঁদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশও করেননি। বিগত সিপিএম সরকারের গাফিলতিতে এই শিক্ষকরা চাকরি হারিয়েছিলেন। বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের চাকরির সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি।
২৭ জানুয়ারি সকালে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ প্রথমে শিক্ষকদের অবস্থানের ছাউনি ভেঙে দেয়। তাঁদের একাংশকে আর কে নগরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। অবশিষ্ট শিক্ষকরা আবার জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসের কাছে শান্তিপূর্ণ অবস্থান শুরু করেন। তৎক্ষণাৎ রাজ্য পুলিশের আই জি স্বয়ং শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলা শুরু করার নির্দেশ দেন। জলকামান, টিয়ার গ্যাস, লাঠি চালিয়ে শিক্ষকদের রক্তাক্ত করে দেয় পুলিশ। বহু শিক্ষক আহত হয়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন, শিক্ষিকারাও মারাত্মক আহত হন।
এসইউসিআই(সি) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ওই দিন এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়– বিজেপি সরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণ রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না। দলের পক্ষ থেকে সমস্ত চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের স্থায়ী চাকরি ও দোষী পুলিশদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার খর্ব করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এসইউসিআই(সি) এবং যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও দাবি করেছে, ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।