এ বছর ত্রিপুরায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে মাত্র ৫৯.৫৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী, যা গত বছরের তুলনায় ৭.৭৯ শতাংশ কম৷ পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে, বহু স্কুলে একজন ছাত্রও পাশ করেনি৷ কেন এই বিপর্যয়, সে প্রসঙ্গে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ১২ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাশ–ফেল না থাকার জন্যই শিক্ষার মান নেমে গিয়েছে৷
ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও–র ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক কমরেড মৃদুলকান্তি সরকার ক্ষোভের সাথে বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি পাশ–ফেল না থাকায় শিক্ষার ভিত দুর্বলই থেকে যাচ্ছে৷ এ নিয়ে আমরা লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছি৷ কিন্তু সরকার এখনও পাশ– ফেল চালু করছে না৷ টালবাহানা করে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবনের মারাত্মক ক্ষতি করছে৷
২০০৯ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ পি এ সরকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ– ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সেই সিদ্ধান্ত ত্রিপুরায় কার্যকর করে পূর্বতন সিপিএম সরকার৷ যদিও পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম সরকারই প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাশ–ফেল তুলে দেওয়ার কারিগর৷ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আন্দোলনের চাপে, নানা কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পাশ–ফেল ফেরানোর জন্য এই জুলাইতেই সংসদে বিল আনার কথা ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু ডি এস ও–র দাবি শুধু দুটো ক্লাসে (পঞ্চম ও অষ্টম) নয়, প্রথম থেকে অষ্টম প্রতিটি ক্লাসেই পাশ–ফেল ফেরাতে হবে৷ তা না হলে শিক্ষার এই অবনমন রোখা যাবে না৷ ১৪ জুন ডিএসও ত্রিপুরা শিক্ষাভবনের সামনে পাশ–ফেল ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়৷
(৭০ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা ২০ জুলাই, ২০১৮)