সম্প্রতি ত্রিপুরায় আমতলি বাইপাসে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও অমরপুরের বৈশাখী মেলা থেকে অপহরণ করে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। যেভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অপহরণ, পাচারের মতো অপরাধমূলক ঘটনা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে তাতে রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে মহিলারা সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অভিভাবকরা মেয়েদের স্কুল-কলেজ ও গৃহশিক্ষকের কাছে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। বহু যুবতী বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বহু ঘটনাই প্রকাশ্যে আসছে না। পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতার অভাবে বহু ঘটনার এফআইআর দাখিল হচ্ছে না। মহিলাদের উপর সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত হয়ে রয়েছে মদ, মাদক দ্রব্যের ব্যবসা, জুয়া, ইন্টারনেট ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে এআইএমএসএস, এআইডিওয়াইও, এআইডিএসও ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির উদ্যোগে ১২ মে ডিজিপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনগুলি দাবি জানায় – দুটি স্থানে গণধর্ষণে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দোষীদের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা, উপযুক্ত আর্থিক সহায়তা সুনিশ্চিত করা, অপহরণ ও নারী পাচার প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ, মদ ও মাদক দ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, জুয়া-সাট্টা বন্ধ করা, ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রচার কঠোর ভাবে বন্ধ করা সহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়।