সারের কালোবাজারি ও অত্যধিক দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এআইকেকেএমএস–এর নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হল৷ উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা, বাদুড়িয়া, আলিপুরদুয়ার জেলায় কৃষিদপ্তর সারের গোডাউনগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বস্তার ডপর লেখা রেটে সার কেনার ব্যবস্থা করে দিতে বাধ্য হয়েছে৷ এর ফলে চাষিদের লক্ষ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে৷ আন্দোলনের সাফল্যের এই খবর অন্যান্য ব্লকের চাষিদের মধ্যেও আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ বিভিন্ন ব্লকে চাষিরা সার নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ও সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করছে৷
আলু, সর্ষে সহ অন্যান্য চাষের ভরা মরসুমে সারের চাহিদা এখন তুঙ্গে৷ এই সুযোগে সার কোম্পানি–সার ব্যবসায়ী–কৃষি দপ্তরের মিলিত চক্র যথেচ্ছভাবে সারের দাম বাড়িয়ে চাষির পকেট কেটে চলেছে৷ দাম নির্ধারণে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার ফলে সারের দাম ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি করেছে কোম্পানিগুলো৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার চাষির অ্যাকাউন্টে সামান্য কিছু নগদ দিয়ে চাষিকে বিভ্রান্ত করে কৃষকবন্ধু সাজার ভণ্ডামি করছে৷ অথচ সার সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি করে সরকারি ভিক্ষার থেকে বহুগুণ টাকা চাষির পকেট কেটে নেওয়া হচ্ছে৷ গোদের উপর বিষফোড়ার মতো প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে সারের কালোবাজারি৷ সারের ডিলার–ব্যবসায়ীরা সার লুকিয়ে রেখে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে বস্তার উপর লেখা খুচরো দামের চেয়েও বস্তা প্রতি ১০০০–১৫০০ টাকা বেশি দামে চাষিকে সার কিনতে বাধ্য করছে৷
কৃষকের এই বিপদের দিনে অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠন (এআইকেকেএমএস)–এর উদ্যোগে পশ্চিমবাংলার জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে কৃষক আন্দোলন৷ ২৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার–১ ব্লকের শালকুমার হাটে বিক্ষোভ মিছিল করে এআইকেকেএমএস কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, ডত্তর ২৪ পরগণা, মেদিনীপুর, হুগলি প্রভৃতি জেলায় আন্দোলন গড়ে উঠেছে৷ আন্দোলনের চাপে প্রশাসন সক্রিয় হতে বাধ্য হয়েছে৷ আন্দোলনের এই জয়ে কৃষকদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কমরেড গোপাল বিশ্বাস৷