১৯ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ১২৬টি পৌরসভা ও কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা মিলিত হলেন গণকনভেনশনে৷ কলকাতার ভারতসভা হল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে বাইরেও অপেক্ষা করতে থাকেন বহু স্বাস্থ্যকর্মী৷ নামমাত্র বেতনে (৩,১২৫টাকা) শহরাঞ্চলে আর্থ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন এই চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উন্নয়ন সূচকের বিপুল উন্নতির যে কথা সরকার বলে, তা এঁদেরই পরিশ্রমের ফল৷ জন্মহার, মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, প্রসবকালীন মৃত্যুহার হ্রাস এবং পারিবারিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার হার বৃদ্ধিতে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য৷ অথচ এই স্বাস্থ্যকর্মীদের ন্যূনতম মজুরিও দেওয়া হয় না৷ পি এফ, পেনশন, বোনাস–এর মতো সামাজিক সুরক্ষা থেকেও এঁরা বঞ্চিত৷
এই বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে সুদূর কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা কনভেনশনে উপস্থিত হন এবং বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরেন৷
এ আই ইউ টি ইউ সি–র রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড অশোক দাস, পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে ডাঃ ভরতচন্দ্র দাস, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সোমনাথ ব্যানার্জী পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখেন৷
আন্দোলনকে তীব্রতর করতে সুচেতা কুণ্ডুকে সভাপতি ও পৌলমী করঞ্জাই ও কেকা পালকে যুগ্ম সম্পাদক করে ২৩ জনের কার্যকরী কমিটি ও ৮৬ জনের কাউন্সিল সহ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়৷ পৌরসভা ভিত্তিক কমিটি গঠন, শ্রমমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়৷ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার নেবে– এই অঙ্গীকার করেন উপস্থিত সকলে৷