৩০ জুলাই সংসদে পাশ হয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইন৷ বিজেপি মহা সমারোহে প্রচারে নেমেছে, নরেন্দ্র মোদি মুক্তি দিয়েছেন মুসলিম নারীদের৷ বাস্তবটা কি তাই বিচার করে দেখা দরকার৷
একথা ঠিক, বহু বছর ধরে মহিলা সংগঠনগুলি সোচ্চার হয়েছিল তিন তালাক বাতিলের দাবিতে৷ শুধু রাজপথে নেমে আন্দোলনই নয়, আইনি লড়াইয়েও তারা নেমেছিল৷ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষিত তালাকপ্রাপ্ত নারীরা তালাক, বিশেষত তালাক–এ–বিদ্দত বা তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ কোর্টের কাছে তাঁদের প্রশ্ন ছিল, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হতে তাঁরা পারছেন না কেন? কেন তাঁদেরকে শুধু নারী হিসাবে দেখা হবে? নারী–পুরুষ নির্বিশেষে আইনগত সমান অধিকার দেওয়ার এবং লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি তাঁদের দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান৷ এই প্রেক্ষাপটে তালাক, বহুবিবাহ, মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের দ্বারা পরিচালিত সম্পত্তির অধিকারসহ আরও কিছু আইন সম্পর্কিত ১৬টি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে জনগণের মতামত চায় ল কমিশন৷ ফলে গোটা দেশব্যাপী শুরু হয় এই বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা৷
বিভিন্ন মৌলবাদী শক্তি একে ধর্মের উপর আঘাত হিসাবে দেখিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়৷ অবশেষে ২২ আগস্ট ২০১৭ সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং বেআইনি বলে ঘোষণা করে৷ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ লোকসভায় পাশ হয় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল৷ এই বিলটি সে সময় রাজ্যসভায় আটকে যায়৷ সেটিই পাশ হয়েছে এ বছরের ৩০ জুলাই৷ যদিও শুধুমাত্র তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া ছাড়া এই বিলে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কার্যকরী হতে দেখা গেল না৷ বিলের বিধান অনুযায়ী একমাত্র তিন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বা তাঁর রক্তের সম্পর্কের কোনও আত্মীয় অভিযোগ করলেই এটি অপরাধ হিসাবে গণ্যহবে৷ এই আইনে অপরাধীর ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানার বিধান আছে৷ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খোরপোশ পাওয়ার অধিকারী, তার পরিমাণ নির্ধারণ করবেন কোনও ম্যাজিস্ট্রেট৷ নাবালক সন্তানেরা মায়ের কাছে থাকার অধিকারী৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ নারী আন্দোলনের একধাপ জয় সূচিত করেছে৷ নারীদের দীর্ঘ দিনের গুমরে ওঠা কান্না, চাপা ব্যথাকে এই আন্দোলন যে ভাষা দিয়েছে তাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা রাষ্ট্রশক্তির পক্ষেও সম্ভব হয়নি৷ তা সমাজের চিন্তাশীল মানুষকেও ভাবিয়েছে৷
আপাতদৃষ্টিতে এই বিলে তিন তালাক নিষিদ্ধ এবং বেআইনি হিসাবে ঘোষিত হলেও আইনের ফাঁকে রয়েছে অপব্যবহারের সুযোগ৷ নানা পথে তালাককে পুরুষের হাতে একটি নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে রেখে দেওয়া হল৷ নারীকে কিন্তু তালাক কিংবা বিচ্ছেদের অধিকার এই ২০১৯–এও ‘ডিজিট্যাল ভারতের’ সরকার দিল না৷ তালাক সংক্রান্ত অভিযোগ করলে অপরাধীর জেল হতে পারে, তার জন্য আমাদের দেশে গার্হস্থ্য আইন তো আছেই, তিন তালাকের সঙ্গে তা জড়িত করে দেওয়া হচ্ছে কেন? তিন তালাককে ফৌজদারি তকমায় আটকে দেওয়া হল৷ প্রশ্ন হল, স্বামী জেলে গেলে স্ত্রী–সন্তানের ভরণপোষণ শিক্ষা, চিকিৎসার দায়ভার কে গ্রহণ করবে? মহিলারা তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর উপর নির্ভরশীল৷ আজও যে ধর্মান্ধতা সমাজে বিদ্যমান তাতে তালাক নামক শব্দটি স্বীকৃত থেকে গেলে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে স্বামীর ঘরে বা শ্বশুরবাড়িতে থাকতেই দেওয়া হবে না৷ এই আইন এমন কোনও গ্যারান্টি দিচ্ছে না যে, তালাকপ্রাপ্ত নারীকে আশ্রয়হীন এবং গৃহচূ্যত হতে হবে না৷ স্বামী জেলে গেলে তার আশ্রয় যে শ্বশুর বাড়িতে হবেই তার কোনও গ্যারান্টিও নেই৷ দ্বিতীয়ত, স্বামী জেল থেকে বেরিয়ে এলেও তালাক শব্দটি সমাজে গ্রহণযোগ্য থেকে গেলে স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক কি বজায় থাকবে? মুসলিম সমাজ কি তা গ্রহণ করবে? এই আইন নিকাহ হালালা প্রথা নিষিদ্ধ করার কথা বলেনি৷ ফলে একবার তালাক দিয়ে ফেলার পর পুনরায় সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করতে হলে তাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ দিতে হবে৷ তিনি সহবাসের পর আবার তালাক দিলে তবেই স্ত্রী পূর্বের স্বামীর সঙ্গে পূনর্বিবাহ করে (নিকাহ হালালা) সংসার করতে পারবে৷ এই অবমাননাকর প্রথা বাতিল না হলে নারীর অধিকার কোথায় প্রতিষ্ঠা হল?
মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের দ্বারা স্বীকৃত বহুবিবাহকে ভারত সরকার আজও মান্যতা দিয়ে চলেছে৷ ফলে শাস্তি পাওয়ার পরেও স্বামী তার তালাক দেওয়া স্ত্রীকে গ্রহণ না করে আরেকটি বিয়ে অনায়াসেই করতেই পারে৷ আবার, শাস্তির ভয়ে তালাক না দিয়ে, স্ত্রীকে বিতাড়িত করে বিবাহ করতে পারে স্বামী৷ কাজেই এই আইনে মহিলাদের সুরক্ষা থাকল না৷ আসলে এটি পরস্পর সম্পর্কিত এক সমস্যা৷ গোটা ভারতবর্ষে ব্যাপকহারে বহু বিবাহ চলছে৷ হিন্দুদের মধ্যেও চলছে৷ কিন্তু সেক্ষেত্রে রক্ষাকবচ একটাই, ভারতীয় আইনে হিন্দুদের ক্ষেত্রে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ৷ মুসলিম মহিলাদের ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয়নি৷
বর্তমান আইনে বহিরঙ্গে এক ধরনের অবিচার নিরসনের ভাব থাকায় বহু গণতান্ত্রিক চেতনা সম্পন্ন মুসলিম ও হিন্দু জনগণ একে সম্মান করছেন৷ আদালতে খোরপোশ পাওয়া সাধারণ মহিলাদের পক্ষে প্রায় দুঃসাধ্য৷ আইন আছে শুধু মাত্র কাগজে কলমে৷ শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী এই জেলাতেই ৩০ হাজারেরও বেশি খোরপোশ পাওয়ার অধিকারী মহিলা কোর্টে ধরনা দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত৷ ১০ বছর, ১৫ বছর মামলা চালিয়ে কেউ একবার, কেউ দু’বার হয়তো খোরপোশ পেয়েছেন, যা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়৷
মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মের বিধানকে একটি সরকার কীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে? কিন্তু আমাদের দেশে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামে যে পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা বলা আছে তার কি পরিবর্তন হয়নি? ডঃ ওসমান গনির ব্যাখ্যা অনুযায়ী আরবে পুরুষ বা নারী চুরি করলে হাত পা কেটে দেওয়া হত, সেসব দেশেও আইনের পরিবর্তন হয়েছে৷ সুদের কারবার ইসলাম অনুমোদন করে না৷ তা সত্ত্বেও মুসলিমরা সুদ গ্রহণ মেনে নিয়েছেন৷ ধর্মীয় বিধান মানলে তো ব্যাঙ্ক থেকে সুদ নেওয়াও অপরাধ৷ এই সব বিধানও পরিবর্তন হয়েছে৷ চুক্তি, সাধারণ ও ফৌজদারি বিষয় সংক্রান্ত বহু ইসলামি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগ হয়েছে৷ শুধু নারীর অধিকারের প্রশ্নে স্বার্থান্বেষীরা মৌলবাদীরা সোচ্চার হচ্ছেন ধর্মের উপর আঘাত বলে৷
ইসলাম ধর্মেই প্রথম নারীদের বিবাহে মত প্রকাশের অধিকার, বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার, বিধবা বিবাহের অধিকার, শিক্ষা ও স্বনির্ভরতার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ মহান হজরত মহম্মদের নির্দেশ ছিল, শরিয়তের দ্বারা কোনও সমস্যা সমাধান না হলে মনুষ্যত্বকে কাজে লাগাবে৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিন তালাক বিলে তালাককে অনুমোদন, যার সঙ্গে যুক্ত নিকাহ হালালা, তা বহাল তবিয়তেই রইল৷ এটা তো ধর্ষণের অনুমোদনেরই নামান্তর৷ এই বর্বর প্রথা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মনুষ্যত্বকে কাজে লাগানো হল না৷ সারা বিশ্ব জুড়ে পরিবর্তন শুরু হয়েছে৷ ইসলামিক বহু দেশে যুগোপযোগী আইন তৈরি হয়েছে৷ পরিবর্তনও হয়েছে৷ অনেক দিন ধরেই কাশ্মীরে তো এই নিয়ম চালু নেই৷ সেখানে ছেলে–মেয়ে সম্পত্তিতে সমান অধিকার পায়৷ কোনও কাশ্মীরি নারী বাইরের কাউকে বিবাহ করলেও নারী সম্পত্তিতে বঞ্চিত হয় না, ৩৭০ ধারা চালু থাকা সত্ত্বেও৷ বিশ্বের প্রায় ২২টি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের পরিবর্তন হয়েছে৷ মরক্কো, টিউনেশিয়া, মালদ্বীপ, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিশর, জর্ডন, আলজেরিয়া ইত্যাদি দেশে এই সব প্রথার পরিবর্তন হয়েছে৷ পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, সিরিয়াতেও তাৎক্ষণিক তালাক সরকার বন্ধ করেছে৷
১৯৭৮ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ৬৫ বছরের শাহবানুকে তালাক দেয় তার স্বামী৷ স্বামী খোরপোশ দিতে না চাইলে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন৷ ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট খোরপোশের পক্ষে রায় দেয়৷ মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বিরোধিতায় সেই সময় ১৯৮৬ সালে কংগ্রেস সরকার পার্লামেন্টে আইন পাশ করে সুপ্রিম কোর্টের রায় নাকচ করে দেয়৷ এইভাবে কংগ্রেস ভোটের স্বার্থে মৌলবাদীদের খুশি করার পথ নেয়৷ ধারাবাহিকভাবেই কংগ্রেস এই নীতি নিয়ে চলেছে৷ বর্তমান তৃণমূল সরকারকেও মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে তালাক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল না৷ এভাবে গণতান্ত্রিক সংস্কার এ দেশে অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে৷
বিজেপি সরকার দাবি করছে মুসলিম নারীদের আত্মসম্মান, সামাজিক নিরাপত্তা, মর্যাদা দিতে সরকার তিন তালাক বন্ধ করেছে৷ বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ প্রচার করছেন এই বিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমোহন–বিদ্যাসাগরের পরই আরেকজন সমাজ সংস্কারকের মর্যাদায় ভূষিত হলেন৷ বিল পাশের পরের দিনই প্রচার মাধ্যমে দেখা গেল বোরখা পরা কিছু মুসলিম মেয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি হাতে নিয়ে উল্লাস করছেন৷ হয় অজ্ঞতা না হলে গড়া–পেটার খেলা ছাড়া এটা আর কী হতে পারে? তথাকথিত ‘হিন্দু ভারত’ গড়ে তোলার কারিগরদের এই প্রতারণার দিকটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ যে সব প্রশ্নে আইন নিরুত্তর, অসহায় নারীদের সুরক্ষা দিতে অপারগ, সেই শূন্যতা পূরণে মৌলবাদীদের সক্রিয়তা ও সমাজে তাদের কব্জা শক্তিশালী হবে৷ বিজেপি মুখে প্রগতির জৌলুস, আর বাস্তবে মৌলবাদীদের মদত দিয়ে চলেছে৷ হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদীদের মধ্যে মিত্রতা তো থাকেই৷ পুঁজিবাদী শাসকদের কাছে তা শক্তিশালী হাতিয়ার৷
মুসলিম নারীদের প্রতি বিজেপির দরদ আসলে কুমিরের কান্না৷ একদিকে মহাদরদি সেজে সারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটের অঙ্ক বাড়িয়ে নেওয়া, অন্য দিকে মৌলবাদীদের সন্তুষ্ট করার এক নয়া কৌশল নিয়েছে বিজেপি৷ বিজেপি দাবি তুলেছে, তারাই মুসলিম মেয়েদের রক্ষাকর্তা৷ অথচ কাশ্মীরের কাঠুয়াতে আট বছরের কচি মেয়ে আসিফার ধর্ষকদের রক্ষা করতে তারাই মিছিল করেছে৷ সমস্ত দিক দিয়েই তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে৷ সারা দেশে গোরক্ষার নামে মুসলিমদের খুন করাচ্ছে তারা৷ জয় শ্রীরাম না বলার অপরাধে চরম লাঞ্ছনা ও নির্যাতন হয়েছে হিন্দু দলিত সহ মুসলিম যুবকদের উপর৷ নিপীড়িত হয়েছেন নারীরাও৷
বিজেপি নেতারা মুসলিমদের মাঝে মাঝেই বাংলাদেশে, পাকিস্তানে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন৷ যে বিজেপি নেতারা মুসলিম মহিলাদের আত্মসম্মান এবং সামাজিক নিরাপত্তার চ্যাম্পিয়ান সাজার চেষ্টা করছেন, তাঁরা আয়নায় একবার নিজেদের মুখ দেখুন৷ আমাদের দেশে দলিত, তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষ, এমনকি যুক্তিবাদীরাও তাদের হাতে নিরাপদ নয়৷ সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টিকারী এই বিজেপি যুক্তিবাদী, মুক্তমনা গবেষক, লেখক নরেন্দ্র দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে, এম এম কালবুর্গি, গৌরী লঙ্কেশ, সুজাত বুখারি সহ বহু যুক্তিবাদীর কণ্ঠ রোধ করতে তাঁদের হত্যা করেছে৷ এঁরা তো জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন৷ তাঁদের খুন করাল কেন বিজেপি মদতপুষ্ট হিন্দুত্ববাদীরা? কর্নাটকের বিজেপির এক নেতা বলেছেন, আরএসএসের নীতির বিরুদ্ধে না গেলে এদের মরতে হত না৷ সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে লড়ার ‘অপরাধে’ ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রপথিক রামমোহন রায়কে বিজেপি ‘ভক্ত’রা ব্রিটিশের দালাল বলে গালাগালি দিয়ে চলেছে৷ আর সেই বিজেপি মুসলিম নারীর অধিকারের আওয়াজ তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে৷ বাস্তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অপব্যাখ্যা করে তিন তালাক বিলের দ্বারা তালাক প্রথাকেই কার্যত রক্ষা করেছে বিজেপি৷ নরেন্দ্র মোদি সরকার এভাবে প্রতারণার পথে মুসলিম নারীদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত করলেন৷