তিন কালা আইনের বিরুদ্ধে ১ জুলাই সারা ভারত প্রতিবাদ দিবস পালিত

কলকাতা হাইকোর্ট

লিগাল সার্ভিস সেন্টারের প্রতিবাদঃ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নতুন তিনটি কালা আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা ১ জুলাই থেকে চালু করেছে। চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ভাবে সংসদের উভয় কক্ষ থেকে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে এবং বিলের ওপর কোনও প্রকার বিতর্ক করতে না দিয়ে তা সংসদে পাশ করানো হয়েছে। প্রতিবাদে লিগাল সার্ভিস সেন্টার ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন কোর্টে প্রতিবাদ সভা ও আলোচনা সভা সংগঠিত করেছে। রাষ্ট্রপতি ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়ে এগুলি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এই সব আইন অবিলম্বে বাতিল করার দাবিতে ২৫-২৮ জুন কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের বিভিন্ন কোর্টে লিগাল সার্ভিস সেন্টারের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও হাইকোর্ট সহ রাজ্যের অন্যান্য কোর্টের আইনজীবীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো হয়েছে।

বারুইপুর হাইকোর্ট

সিপিডিআরএসের প্রতিবাদঃ এই তিন কালা আইনের বিরোধিতা করেছে মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক রাজকুমার বসাক ২৯ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, এগুলি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণকারী আইন। ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত করে আইনের আধুনিকীকরণের কথা বলা হলেও, নতুন আইন তিনটির ধারা ও উপধারা বাস্তবে ঔপনিবেশিক আইনের থেকেও মারাত্মক।

এই আইনে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, সরকারি আইনি পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে পুলিশের হাতে মাত্রাছাড়া ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস দমনের জন্য বিশেষ আইনকে (যে আইন প্রয়োগ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হত) কার্যত সাধারণ আইনে পরিণত করে, তা যে-কোনও প্রতিবাদী মানুষের ওপর প্রয়োগ করার অবাধ স্বাধীনতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরনো আইনের সর্বাধিক ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে বন্দি রাখার সুযোগ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকারের ছিটেফোঁটা যেটুকু অন্তত কাগজে-কলমেও আছে, নতুন আইনগুলি চালু করার মাধ্যমে তা-ও নিঃশেষিত হয়ে যাবে। ভারত পরিণত হবে এক পুলিশি রাষ্ট্রে। ১ জুলাই ‘সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস’ পালিত হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।