পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুকের বহিচাড় হাইস্কুলের সামনে জরাজীর্ণ ব্রিজটি স্থানীয় মানুষের লাগাতার আন্দোলনে সরকার নতুন করে তৈরি করে। স্থানীয় মানুষ কংক্রিটের নতুন ব্রিজটির নামকরণ করেন নজরুল সেতু। ১৯২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি নজরুল ইসলাম তমলুকে এসেছিলেন। সেই দিনটি স্মরণে নজরুল ইসলামের মূর্তির আবরণ উন্মোচিত হয় স্থানীয় রণসিঙ্গায়। মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন তমলুক কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মদনমোহন মাইতি। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শুভেন্দু দাস, নরেন্দ্র নাথ মাইতি। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক দেবদুলাল আচার্য। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিনামূল্যে ব্লাডসুগার পরীক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নজরুল ইসলামের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার পোস্টার প্রদর্শনী হয়।
রণসিঙ্গা সাংস্কৃতিক মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক শিক্ষক শম্ভু মান্না ও সমাজসেবী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ নির্মাণ এবং মূর্তি স্থাপন একটা আন্দোলনের ফল। দীর্ঘদিন এই এলাকায় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ জীর্ণ সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হতেন। সরকারি নানা দপ্তরে বহু বার আবেদন নিবেদন করেও ফল না হওয়ায় শেষপর্যন্ত গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় হয়। ব্রিজ নির্মাণ কমিটির দাবি আদায়ের পরেই এলাকার মানুষ রণসিঙ্গা সাংস্কৃতিক মঞ্চ গঠন করেছেন। এ দিন কাজি নজরুল ইসলামের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে এলাকায় সুষ্ঠু সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়।