তদন্ত দাবি এআইডিএসও-র

এআইডিএসও ১৪ আগস্ট রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিয়েছিল তার অংশ হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অতি দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানালেন এআইডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। ১২ আগস্ট তিনি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ৯ আগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু হোস্টেলে চরম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মর্মান্তিক পরিণতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, যা কিনা গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে একজন ছাত্রের উপরে এ ধরনের র্যাগিংয়ের ঘটনা আমাদের শিহরিত করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ সহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এর আগেও বহু ক্ষেত্রে মেডিকেল কলেজ সহ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও হোস্টেল ছাত্রছাত্রীদের নানা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
হোস্টেলের সুপার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারল, এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরিবর্তে এমন দানবীয় আচরণ কেন? শুধু কি এই শিক্ষা ব্যবস্থা তার জন্য দায়ী, নাকি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও সমান ভাবে দায়ী? এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ তথা অভিভাবকরা দিশেহারা অবাক ও স্তম্ভিত। মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। এই হত্যার পিছনে যে বা যারাই দায়ী থাকুক না কেন তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ১০ আগস্ট যাদবপুর ৮বি চত্বরে এআইডিএসও-র পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয় এবং ১৪ আগস্ট সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি সংগঠনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে র‍্যাগিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।