কোভিড ১৯-এর মতো অতিমারি না হলেও ফি বছর ডেঙ্গুতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গে। অন্যান্য বছর তবুও এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে একটি স্বাস্থ্য ক্যালেন্ডার চালু থাকে টানা ১০ মাস, এর ফলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু কিছুটা হলেও আটকানো যায়। কিন্তু এই বছর তা চরমভাবে উপেক্ষিত শুধু নয়, গত ১৫ এপ্রিল রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানায়, আপাতত শুধু পৌর এলাকাগুলিতে স্যানিটেশনের কাজ চলবে। পরদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থে্যর এই চূড়ান্ত অবহেলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ডেঙ্গু সচেতনতার কাজ চালু করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিলিপি পাঠানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটির কাছে ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে। এরপর ১৮ এপ্রিল পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে পুনরায় ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য বাড়ি বাড়ি প্রচারমূলক কাজ পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে শুরু করার কথা জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পুরসভা এই কাজ শুরু করেনি। অথচ ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডু ও যুগ্ম সম্পাদিকা কেকা পাল ২৬ এপ্রিল এক প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেছেন, অবিলম্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং সহ আনুষঙ্গিক কাজের সাথে সাথেই ডেঙ্গু সচেতনতার কাজ করার অনুমতি পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হোক, সাথে সাথে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের অতিরিক্ত কাজের জন্য অন্তত অতিরিক্ত মাসিক পাঁচ হাজার টাকা আগামী ছয় মাসের জন্য ও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো রেশনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা ও সুরক্ষার জন্য পিপিই দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা মাসিক মাত্র ৩১২৫ টাকা বেতন পান।