এনআরসি এবং সিএএর প্রতিবাদে মুম্বাইয়ের এক সভা থেকে ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হল ডাঃ কাফিল খানকে। বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা এখন জনগণের কোনও প্রতিবাদকেই সহ্য করতে পারছেন না। কোনও কোনও মন্ত্রী তো আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে বঙ্গ বিজেপির সভাপতিও রয়েছেন। শীর্ষনেতাদের এমন প্ররোচনামূলক বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক যুবক দিল্লিতে এনআরসি বিরোধী মিছিল লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়ে দেয়। যুবকটি যখন গুলি চালাতে উদ্যত তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ দাঁড়িয়ে ওই দৃশ্যের ছবি তোলে। ঘটনার পরের দিনই হিন্দু মহাসভার এক নেতা টিভি- সাক্ষাৎকারে জানান, হত্যায় উদ্যত উক্ত যুবককে বীরের মর্যাদা দিয়ে তাঁরা সংবর্ধনা দেবেন। ঘটনাক্রম থেকেই পরিষ্কার, গণতন্ত্রের যে অন্যতম প্রধান শর্ত, সমালোচনার অধিকার, প্রতিবাদের অধিকার ইত্যাদি মোদি শাসনে তা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত। এই ফ্যাসিস্টসুলভ আক্রমণের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। আইনজীবীদের সংগঠন লিগ্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে ৩১ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। স্মারকপত্রে ডাঃ কাফিল খানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।