রেলের সময় সারণি মেনে সমস্ত ট্রেন চালানো, আগাম ঘোষণা না করে, গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া হঠাৎ করে কোনও ট্রেন বাতিল না করা, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের গতিবেগ না বাড়িয়েই তার গায়ে এ’প্রেস ট্রেনের তকমা লাগিয়ে বর্ধিত ভাড়া আদায় বন্ধ করা, রেলের সার্বিক বেসরকারিকরণের যাবতীয় পদক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করা, যাত্রী সুবিধার্থে প্রতিটি স্টেশনে বিনামূল্যে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ ১২ দফা দাবিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি এসইউসিআই(সি)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে খড়গপুর ডিআরএম অফিসে গণডেপুটেশন দেওয়া হয়। স্মারলিপিতে বেলদা, বালিচক, সহ একাধিক জায়গায় রেলপথ স্থাপন, স্টেশনে যাত্রীসুবিধা, ফ্লাইওভার নির্মাণ ও হকারদের জীবিকা রক্ষার দাবি জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন গৌরীশঙ্কর দাস, মধুসূদন বেরা, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, কনিকা চক্রবর্তী, অমিত মান্না এবং সরোজ মাইতি। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রণব মাইতি, মিনতি সরকার, অশোকতরু প্রধান, সুব্রত দাস, দীনেশ মেইকাপ, দীপক দাস অধিকারী, শঙ্কর মালাকার, সুরঞ্জন মহাপাত্র প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মালগাড়ি বা বন্দে ভারতের মতো ট্রেনগুলিকে মাত্রাতিরিক্ত অগ্রাধিকার দিতে গিয়েই এই বিপত্তি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবিলম্বে ট্রেন দেরিতে চলার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন তাঁরা।