দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েতে অস্বাভাবিক দেরিতে ট্রেন চলাচলের প্রতিবাদে, হঠাৎ ট্রেন বাতিল ও রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, যাত্রীদের নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে ৭ মার্চ এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর পক্ষ থেকে দিল্লিতে রেল ভবনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষiরবের দপ্তরে ১২ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মধুসূদন বেরা, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, শান্তি ঘোষ, প্রদীপ দাস, শংকর মালাকার প্রমুখ। দপ্তরের সেকশন অফিসার স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম, রেলের সময়সারণি মেনে সমস্ত ট্রেন চালানো, আগাম ঘোষণা না করে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া হঠাৎ ট্রেন বাতিল বন্ধ, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের প্রয়োজনীয় চরিত্র না পাল্টে কেবল এ’প্রেস ট্রেনের তকমা লাগিয়ে বর্ধিত ভাড়া আদায় বন্ধ, রেলের বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ বাতিল, যাত্রী সুবিধার্থে প্রতিটি স্টেশনে নিঃশুল্ক-পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা, বেলদা-বালিচক-পাঁশকুড়া প্রভৃতি রেলস্টেশনের কাছাকাছি জনবহুল এলাকার রেলগেট-লেভেল ক্রসিংগুলিতে অবিলম্বে ফ্লাইওভার (রোড ওভার ব্রিজ) বা আন্ডারপাস নির্মান, বেলদা-দিঘা ও আরামবাগ-চন্দ্রকোনা রোড-ঘাটাল-পাঁশকুড়া নতুন রেল লাইন স্থাপন, ঝাড়গ্রাম-হলদিয়া, দিঘা-খড়গপুর-হাওড়ার সংযোগকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলির দু’দিকে বুকিং কাউন্টার এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে লিফট অথবা এস্কালেটারের ব্যবস্থা, লোকাল ট্রেনে ডিসপ্লে বোর্ডে এবং মাইকে ট্রেনের অবস্থান ও পরবর্তী স্টেশনের নাম নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঘোষণা প্রভৃতি। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, মালগাড়ি ও বন্দে ভারত ট্রেনকে আগে নিয়ে যেতে অস্বাভাবিক ভাবে লোকাল ট্রেন দেরি করানো চলছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবিলম্বে ট্রেন লেট সমস্যার সমাধান না হলে রেলযাত্রীরা বৃহত্তর আন্দোলন নামতে বাধ্য হবে।