কলকাতার রাস্তা থেকে ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে ৯ মার্চ এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর ডাকে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল বেলা আড়াইটায় এসপ্ল্যানেডে লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গণেশ অ্যাভেনিউ হয়ে আর এন মুখার্জী রোডে ট্রাম কোম্পানির অফিসের সামনে পৌঁছায়। সেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড অশোক সামন্ত, এআইইউটিইউসির রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস, কলকাতা জেলা সম্পাদক কমরেড সুব্রত গৌড়ী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নভেন্দু পাল প্রমুখ।
কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা ডিএ থেকে রাজ্য সরকার অন্যায় ভাবে তাঁদের বঞ্চিত করছে। তাঁরা যে সাহসিকতার সাথে অবস্থান এবং অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তা দৃষ্টান্তমূলক। হাজার হাজার স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমে সিপিএম এবং পরে তৃণমূল সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতি অনুসরণ করার কারণেই স্কুলগুলির এই দুর্দশা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতিকে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতেই তৃণমূল সরকার এ ভাবে সরকারি স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দিতে চলেছে।
কমরেড সুব্রত গৌড়ী বলেন, সরকার ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার পক্ষে যে যুক্তিগুলি দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসার। বেসরকারি পরিবহণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এবং ট্রাম ডিপোগুলির বিপুল পরিমাণ জমি জলের দামে আবাসন ও জমি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সরকার বেশ কিছু ডিপো বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম সরকারের আমলেই ট্রাম রুট তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। অবিলম্বে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিন জনের এক প্রতিনিধি দল ট্রাম কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে ডেপুটেশন দিয়ে অবিলম্বে বন্ধ ট্রামরুটগুলি চালু করা, ডিপোগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।