মহানগরীতে ট্রাম না চালানোর যে কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন পরিবহণ মন্ত্রী তার প্রতিবাদ জানিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোতে নাগরিক বিক্ষোভ হয়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ট্রাম ইউজারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সম্পাদক মহাদেব শী, নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের তমাল নন্দ, পরিবেশবান্ধব ট্রাম বাঁচাও সংগঠনের পক্ষে সমরেন্দ্র প্রতিহার, অধ্যাপক নির্মল দুয়ারী, অধ্যাপক গৌরাঙ্গ খাটুয়া সহ বহু নাগরিক। দেবাশীষ ভট্টাচার্য পরিবহণ মন্ত্রীর ট্রাম তুলে দেওয়ার পক্ষের যুক্তিগুলিকে খণ্ডন করে বলেন, ট্রাম নয়, শহরের মন্থর গতির জন্য দায়ী সরকারের ট্রাফিক নীতি এবং পরিবহণ দপ্তরের অপদার্থতা। তিনি ট্রামের ডিপোগুলি বিক্রি করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা করে বলেন, এর ফলে ভবিষ্যতে যদি কোনও সরকার আধুনিক ট্রাম চালু করতে চান তার আর কোনও উপায় থাকবে না। সমরেন্দ্র প্রতিহার বলেন, কলকাতা শহরের সংকীর্ণ রাস্তাকে আরও সঙ্কীর্ণ করে তোলে রাস্তার দু’দিকে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি, ম্যাটাডোর, বাইক, অটো প্রভৃতি। এ দিকে দৃষ্টি না দিয়ে সরকার উদ্দেশ্যমূলক ভাবে শহরের ধীরগতির জন্য ট্রামকে দায়ী করছে। তমাল নন্দ বলেন, রাজ্যের মানুষ সরকারকে নির্বাচিত করেছে মানে তাদের হাতে ট্রাম তুলে দেওয়ার অধিকার দেয়নি। নির্মল দুয়ারী বলেন, সরকার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে একের পর এক পদক্ষেপ করছে। উপস্থিত সকলেই সরকারের ট্রাম তুলে দেওয়ার নীতির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এই ঘোষণা প্রত্যাহার না করা হলে নাগরিক আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান। শেষে ডিপো থেকে শুরু মিছিলে বহু পথচলতি মানুষ যোগ দেন।