ট্রাম চালুর দাবিতে বুদ্ধিজীবীদের সভা

কলকাতা থেকে ট্রাম পরিবহন তুলে দিতে রাজ্য সরকারের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছে তারই অঙ্গ হিসাবে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজারস অ্যাসোসিয়েশন ছোটদের আঁকা, গান, নাচ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদের উদ্যোগে নিয়েছিল, ১৯ জানুয়ারি, রানু ছায়া মঞ্চ, রবীন্দ্রসদন চত্বরে।

এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রাক্তন সাংসদ ও নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের আহ্বায়ক ডাঃ তরুণ মণ্ডল বলেন, শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যদি অহেতুক কেটে বাদ দেওয়া হয়, তা হলে সেই শরীর যেমন অকেজো হয়ে যায় তেমনই এই শহরের বুক থেকে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করলে তা হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ট্রামকে ধ্বংস করার চেষ্টা আগের সরকারের আমল থেকেই শুরু হয়েছিল।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির প্রাক্তন অধ্যাপক ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য বলেন, পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রেহাই পেতে বিশ্বের বহু দেশ আবার ট্রাম ফিরিয়ে আনছে। অথচ কলকাতায় ট্রাম পরিকাঠামো শহরের প্রান্তে প্রান্তে জালের মতো ছড়িয়ে থাকলেও তাকে কুযুক্তি দিয়ে তিল তিল করে ধ্বংস করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ঘোষণা করেন—ট্রাম তুলে দেওয়ার একমাত্র কারণ ট্রাম ডিপোগুলোর লোভনীয় জমি। সরকারি পরিবহণ বলতে শহরে প্রায় কিছুই নেই। তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, সরকার বদলায় কিন্তু দুর্নীতির শুধু হাত বদল হয়। রানুছায়া মঞ্চে উপস্থিত যুব সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ৯০ বছর বয়সেও ট্রামের আন্দোলনে যখন যেখানে আপনারা ডাকবেন আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।

এ ছাড়াও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চের অন্যতম সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী। সকলেই পরিবেশ বান্ধব ট্রাম ব্যবস্থাকে বাঁচাতে নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।