এস ইউ সি আই (সি)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রে সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়াই সরাসরি ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে অনুমতি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করেছে, আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে পুঁজি লগ্নির পর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জানালেই চলবে, সরকারের কাছ থেকে লগ্নির জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে না। অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে আমরা আরও লক্ষ করছি, ক্রমাগত দরিদ্র হতে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর যে সরকার পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে চলেছে এবং সরকারি সংস্থা বিএসএনএল-কে ছক কষে দুর্বল করছে, সেই সরকারই আবার ব্রিটিশ সংস্থা ভোডাফোনের ৫০,৩৯৯.৬৩ কোটি টাকা বকেয়া কর শোধের ক্ষেত্রে চার বছরের জন্য স্থগিতাদেশ দিল। পাশাপাশি এই সরকার ‘গভীর ও বিস্তৃত’ সংস্কারের অজুহাতে ভারতী এয়ারটেল, রিলায়্যান্স জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়ার মতো বৃহদাকার বেসরকারি টেলি-যোগাযোগ সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে ‘এয়ারওয়েভ’ বাবদ প্রাপ্য টাকা পরিশোধের ওপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রটিকে দেশি ও বিদেশি বেসরকারি একচেটিয়া সংস্থার সামনে মুনাফা লুটের জন্য সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার এই সরকারি পদক্ষেপের পরিণতিতে টেলিফোন-মাশুল চড়া হারে বৃদ্ধি পাবে, যার বোঝা এসে পড়বে সেই সাধারণ মানুষেরই কাঁধে। দুদর্শা-জর্জরিত দেশবাসীর কাছে আরও একবার আমরা বিজেপি সরকারের কর্পোরেট স্বার্থবাহী জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তাদের এই লাগাতার অর্থনৈতিক আক্রমণ রুখে দিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।