মেখলিগঞ্জ কলেজে ২৮ মে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০ বাতিলের দাবিতে দেওয়াল লিখতে গেলে এআইডিএসও কর্মীদের মারধর করে টিএমসিপি দুষ্কৃতীরা। সুনির্দিষ্ট নাম দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এর পরেও কলেজের ছাত্র নারায়ণ চন্দ্র বর্মন, দয়াল বর্মন, হরেন বর্মন কলেজে গেলে টিএমসিপি দুষ্কৃতীরা তাদের উপর আবার ব্যাপক হামলা চালায় এবং অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। গুরুতর আহত হরেন বর্মনকে মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৩১ মে কোচবিহার এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও।
সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড আসিফ আলম বলেন, অবিলম্বে ছাত্রকর্মীদের উপর আক্রমণকারী টিএমসিপি দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, কলেজ ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং কলেজে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পঠন-পাঠন চালু করতে হবে। এ দিন এসপি অফিসে ঢোকার মুহূর্তে পুলিশ বাধা দিলে সেখানে এআইডিএসও-র বিক্ষোভ চলে। পরে এসপি ডেপুটেশন নিতে বাধ্য হন। ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে ১ জুন জেলা জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।