অতি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান আসার পূর্বাভাস পেয়েই এসইউসিআই(সি) কুলতলী বিধানসভা এলাকার নেতা-কর্মীরা দ্রুত ত্রাণ শিবির খোলার দাবিতে বিডিও এবং এসডিও দপ্তরে আর্জি জানান। তবুও ১৯ মে ঝড়ের আগের দিন জানা যায় জালাবেড়িয়া-১, মণিরতট, বাইশহাটা সহ বহু অঞ্চলে আশ্রয় শিবিরের কথা বিডিও দপ্তর ভাবেইনি। অন্যান্য জায়গাতেও তা অপ্রতুল। কুলতলীর পূর্বতন বিধায়ক কমরেড জয়কৃষ্ণ হালদার এলাকার জনসংখ্যা অনুযায়ী ত্রাণশিবিরের প্রয়োজনের সুনির্দিষ্ট তালিকা নিয়ে প্রশাসনের কাছে ছুটে যান। বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের কাছে তিনি দাবি জানান, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত স্কুল, কলেজ, সরকারি ভবন, প্রাইমারি স্কুল ইত্যাদি যেখানেই পাকা বাড়ি আছে সেগুলিকে আশ্রয়শিবিরে পরিণত করতে হবে। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক এস ইউ সি আই (সি) দলের নেতৃবৃন্দের দেওয়া তালিকা ধরেই আরও অনেক ত্রাণশিবির খুলবার নির্দেশ দেন। দ্রুত মানুষকে সরানোর কাজও দলের নেতা-কর্মীরা তদারক করেন। যার ফলে বহু প্রাণহানি ঠেকানো গেছে। এলাকার মানুষ কমরেড জয়কৃষ্ণ হালদার সহ দলের নেতা-কর্মীদের এই ভূমিকা দেখে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
২০ মে ঝড়ের প্রকোপ কমতেই দলের নেতা-কর্মীরা ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। ২৩ মে দলের রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, জয়নগরের প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল, জয়কৃষ্ণ হালদার, জয়নগরের প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর সহ এক প্রতিনিধি দল কুলতলী, জয়নগরের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় দলের কর্মীদের নিয়ে পৌঁছে যান।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ, নদীবাঁধ সংস্কার, রোগ প্রতিরোধ ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে ২৫ মে কুলতলী বিডিওতে কমরেড জয়কৃষ্ণ হালদার, সওকৎ সরদার ও সীমা পণ্ডা বিডিও-র সাথে দেখা করে সুনির্দিষ্ট দাবিপত্র দেন। ঠাকুরণ, মাতলা, মণি, মাকড়ি প্রভৃতি নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতের দাবিতে এসডিও দপ্তরেও স্মারকলিপি পাঠানো হয়।