সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকে সারা ভারত বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের জন্য জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়ে এস ইউ সি আই (সি) রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ২৭ সেপ্টেম্বর এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন,
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে সকাল থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, পিকেটিং ও রাস্তা অবরোধ হয়। রাজ্যে ২৭ জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কলকাতার শ্যামবাজার ও হাজরা মোড়ে অবস্থান হয় এবং হাজরা মোড় থেকে পুলিশ ৭ জন মহিলা সমেত ১৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পুরুষ পুলিশরাই মহিলাদের টানা-হ্যাঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ৬ জন, কোচবিহারে মাথাভাঙা থেকে ৫ জন এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বাঁকুড়ার খাতড়া, হিড়বাঁধ, মুকুটমণিপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং, কুলতলি, জয়নগর, বিজয়গঞ্জ, বীরভূমের সিউড়ি, রামপুরহাট, উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া, কাঁচড়াপাড়া, বসিরহাট, পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা, নিমতৌড়ি, এগরা, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়, পিংলা, মেদিনীপুর শহর, দার্জিলিং-র শিলিগুড়ি, পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, নদীয়ার দেবগ্রাম, কৃষiরনগর, জলপাইগুড়ি শহর, হুগলির শ্রীরামপুর, নালিকুল, হাওড়ার বালি, আন্দুল, ময়দান, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, হরিহরপাড়া, বেলডাঙা সহ আরও নানা জায়গায় মিছিল ও পিকেটিং হয়। জনসাধারণ লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও এবং উৎসবের মরসুমে ছোট দোকানদার ও হকাররা ব্যক্তিগত অসুবিধা সত্ত্বেও এই বনধকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করার জন্য আমরা দলের তরফ থেকে তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে উক্ত আইনগুলি প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আগামী দিনে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।