অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের নামে কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট পুঁজির অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে, লকডাউন পরিস্থিতিতে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ, ডিজেল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, আমফান–এ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, আগের ঋণ মকুব করে পুনরায় বিনা সুদে চাষিদের ঋণ দেওয়া, এনআরইজিএ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডার এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ন্যূনতম ২০০ দিন কাজ, ৩০০ টাকা মজুরি, লাভজনক দামে ধান, পাট, পান কেনার ব্যবস্থা, পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও কাজ, সকল গরিব মানুষকে মাসে মাথাপিছু ১২ কেজি চাল ও ৮ কেজি গম সহ অন্যান্য দাবিতে অল ইন্ডিয়া কিষান–খেতমজদুর সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির আহ্বানে রাজ্যের প্রতিটি জেলার ব্লকে ব্লকে ২৪ জুন অবস্থান, বিক্ষোভ, ডেপুটেশনে শত শত কৃষক, খেতমজুর, জবকার্ড হোল্ডার সামিল হন৷ সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান এই সংকটজনক পরিস্থিতি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান৷
পশ্চিম মেদিনীপুর : এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ উপস্থিত ছিলেন ব্লক কমিটির পক্ষে প্রদীপ দাস, স্নেহাশীষ আইচ, মৃণালকান্তি প্রধান, মানস বেরা সহ আরও অনেকে৷
এগরার দু’নম্বর বালিঘাই ব্লক অফিসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়৷ এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কমরেড জগদীশ সাউ এবং জেলা কমিটির সদস্য কমরেড বনবিহারী জানা ও অন্যান্যরা৷
পূর্ব মেদিনীপুর : ২৪ জুন সাধারণ দাবিগুলি ছাড়াও তদন্ত সাপেক্ষে আমফান ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও ত্রাণে দুর্নীতি– দলবাজি বন্ধ করা, তমলুক ব্লকের সমস্ত খাল অবিলম্বে পরিষ্কার করে চাষের ডপযোগী জল যাতায়াতের ব্যবস্থা করা সহ অন্যান্য দাবিতে তমলুকের বিডিও–র কাছে বিক্ষোভ সংগঠিত করেন চাষিরা৷
কোচবিহার : জেলার সিতাই ব্লকে সংগঠনের পক্ষথেকে এ দিন বিডিও অফিসে ডেপুটেশনদেওয়া হয়৷ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন লোকাল সম্পাদক তারাকান্ত বর্মন, শ্যামা বর্মন, হাতেম আলি মিঞা, মোন্নাফ আলি মিঞা, ফরিদুল মিঞা প্রমুখ৷