ধান-পাট-আলু সহ সমস্ত ফসলে এমএসপি-কে আইনসঙ্গত করা, খাদ্যদ্রব্যে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু, সার-বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও কালোবাজারি বন্ধ, কৃষকদের জন্য সস্তায় ডিজেল-বিদ্যুৎ ও কীটনাশক সরবরাহ, কৃষি ঋণ মকুব, খেতমজুরদের ন্যূনতম ৪০০ টাকা মজুরি ও বছরে ২০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি, মূল্যবৃদ্ধি রোধ, সুন্দরবন এলাকায় কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ সহ বিভিন্ন দাবিতে কৃষক সংগঠন এআইকেকেএমএস-এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য জুড়ে নানা জেলায়।
ডায়মন্ডহারবারঃ ১৮ মে এআইকেকেএমএস-এর ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার প্রথম সম্মেলন হয় মথুরাপুর-২ নং ব্লকের রাধাকান্তপুর অঞ্চলে আটেশ্বরতলা স্কুল মাঠে (শহিদ মাধাই হালদার নগর)। প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক এই সমাবেশে উপস্থিত হন। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর ঘোষ কৃষকদের জীবনের বর্তমান সমস্যাগুলি সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষক নেতা কমরেড গুণসিন্ধু হালদার। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড রেণুপদ হালদার, উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড গোপাল বিশ্বাস এবং এস ইউ সি আই (সি) বারুইপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক কমরেড নন্দ কুণ্ডু।
বসিরহাটঃ ১৬ মে বসিরহাট ব্লকে এআইকেকেএমএস সম্মেলনে সমবেত হন বহু কৃষক। সভায় তাঁরা কৃষকজীবনের সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। আব্দুর কাদের মোল্লাকে সভাপতি ও গোবিন্দ সরকারকে সম্পাদক করে ব্লকে সংগঠনের নতুন কমিটি গঠিত হয়।
হুগলিঃ ২২ মে সিঙ্গুর ক্লাব হলে এআইকেকেএমএস-এর প্রথম হুগলি জেলা সম্মেলন হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন কমরেড শঙ্কর ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড গোপাল বিশ্বাস, এস ইউ সি আই (সি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড অশোক সামন্ত, জেলা সম্পাদক কমরেড সন্তোষ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মহাদেব কোলেকে সভাপতি এবং বিশ্বনাথ ঘোষকে সম্পাদক করে ৩৫ জনের শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়।