উত্তর ২৪ পরগণা : ২২ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি প্রতিরোধে নাগরিক কনভেনশন হয়। এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা বলেন, দেশের অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গভীর সংকটকে আড়াল করবার জন্য মোদি সরকার এই ভয়াবহ পদক্ষেপ নিচ্ছে। একে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরাস্ত করতে হবে। উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির সম্পাদক গোপাল বিশ্বাস। নিমাই মজুমদার কে সভপতি এবং অধ্যাপক অভিজিৎ ব্যানার্জীকে সম্পাদক করে ২০ জনের কমিটি গঠন করা হয়।
কলকাতা : ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বেলেঘাটায় সুইটি ড্রিম হলে সিএএ, এনপিআর, এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির বেলেঘাটা শাখা গঠিত হয়। এলাকার বিশিষ্ট শিল্পী, লেখক, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রধান বক্তা ছিলেন সারা বাংলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির সম্পাদক গোপাল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের নাগরিকত্ব পেতে কোনও সমস্যা হবে না’ বলে বিজেপি নেতারা যে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন তার অসারতা আসামের বাস্তব সত্য থেকেই প্রমাণিত। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এনআরসি-র প্রথম ধাপ এনপিআর বয়কট আন্দোলন নিচু থেকে গড়ে তোলার জন্য তিনি আহ্বান জানান। অতিথি বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির সম্পাদক সৌমেন দাস। কনভেনশন থেকে স্থানীয় বিশিষ্টজনদের উপদেষ্টা করে প্রবীণ শিল্পী বিষ্ণু দাস কে সভাপতি এবং মাস মুখোপাধ্যায় ও সীমা সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ জনের কমিটি গঠিত হয়।
হাওড়া : ২২ ফেব্রুয়ারি বাগনানে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ বিরোধী নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্য আলোচক ছিলেন সারা বাংলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটির সহ সভাপতি জীবন দাস। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব হরণকারী ও ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিকারী এই কালাকানুন প্রত্যাহার না করলে মানুষ জীবন দিয়ে তা রুখবে। শিক্ষক হাফিজুর রহমান খানকে সভাপতি, শ্রীমন্ত ধাড়া ও সেখ আজাহার উদ্দিনকে যুগ্ম সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়। এনআরসি বিরোধী গান ও স্বরচিত কবিতা পাঠ কনভেনশনকে প্রাণবন্ত করে।
দার্জিলিং : ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং শহরে সিএএ, এনপিআর, এনআরসি বিরোধী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী শঙ্কর হাঙ্ক সুব্বা, শিক্ষক প্রভাকর ময়লানী, শিক্ষক ভুবন ছেত্রী, সমাজকর্মী প্রবীণ গুরুং এবং আনজুমান সংস্থার অন্যতম কর্ণধার আলাউদ্দিন শেখ ও শেরপা বোর্ড-এর সভাপতি ফুরবা শেরপা।
কনভেনশন পরিচালনা করেন লিজা হিল স্কুলের শিক্ষক ভুবন ছেত্রী। মূল প্রস্তাব পাঠ করেন অন্যতম আহ্বায়ক জয় লোধ। প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন প্রভাকর ময়লানী, প্রবীণ গুরুং, শঙ্কর হাঙ্ক সুব্বা। অন্যতম বক্তা ছিলেন ঝড় পত্রিকার সম্পাদক অচিন্ত্য সিংহ। শঙ্কর হাঙ্ক সুব্বাকে সভাপতি এবং নিমা জ্ঞানচন শেরপা ও জয় লোধকে যুগ্ম সম্পাদক করে ১২ জনের দার্জিলিং হিল (টাউন) কমিটি গঠিত হয়।