Breaking News

জিন্দল হটাও ভিটেমাটি বাঁচাও ওড়িশায় চাষি ও মহিলাদের বিশাল সমাবেশ

সম্প্রতি ওড়িশার বিজেপি সরকার কেন্দুঝর জেলার যমুনাপসি পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে এক মেগা স্টিল প্ল্যান্ট তৈরির চুক্তিতে সই করেছে শিল্পপতি জিন্দালের সাথে। অথচ এ ব্যাপারে কৃষকদের সাথে সরকার কোনও আলোচনাই করেনি। এর ফলে ১৭-১৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ হতে হবে। সরকারের এই পদক্ষেপ নন্দীগ্রামে বহুজাতিক পস্কো কোম্পানির ও সিঙ্গুরে টাটাদের জমি দখলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন স্থানীয় চাষিরা। এর প্রতিবাদে সংগঠিত হচ্ছেন তাঁরা।

১ মার্চ যমুনাপসি সাপ্তাহিক হাটে ‘জিন্দল হঠাও ভিটেমাটি বাঁচাও’ এই আহ্বানে বিশাল সমাবেশ হয়। এলাকার গ্রামগুলি থেকে হাজার হাজার চাষি, মহিলা, ছাত্র ও যুবক এই সভায় শামিল হন। কৃষক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা ঘনশ্যাম মাহাতোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠনের ওড়িশা রাজ্য সম্পাদক কমরেড রঘুনাথ দাস। তাঁর ভাষণে তিনি রাজ্য সরকার ও শিল্পপতি জিন্দলের জনস্বার্থবিরোধী চুক্তিপত্র অবিলম্বে বাতিল করা, কৃষিজমিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, সরকারি উদ্যোগে শিল্প প্রতিষ্ঠা করার দাবি তোলেন। তিনি আরও বলেন, পুরুষানুক্রমে দখলে থাকা কৃষি ও বাসের উপযোগী জমি দখলদারকে পাট্টা না দিয়ে কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারের একচেটিয়া মালিকপ্রীতির আসল চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে। বক্তব্য রাখেন অচ্যুতানন্দ নায়েক, সরোজ কুমার সিংহ, রবীন্দ্র কুমার মাহাতো, প্রকাশ মল্লিক, বেণুধর সর্দার প্রমুখ। যতদিন না জিন্দল এই অন্যায় জমি দখল বন্ধ করে, ততদিন পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে বলে তাঁরা জানান। সভা থেকে জিন্দল প্রতিরোধ মঞ্চ গঠিত হয়। ঘনশ্যাম মাহাতোকে সভাপতি ও বেণুধর সর্দারকে সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।