শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণ এবং সাম্প্রদায়িকীকরণের ব্লু-প্রিন্ট জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ কার্যকর করতে ২০ আগস্ট আসাম সরকারের ক্যাবিনেট বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ২১ আগস্ট এআইডিএসও আসাম রাজ্য কমিটির আহ্বানে পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে রাজ্য জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ হয়। গুয়াহাটির ভলবো পয়েন্টে ছাত্রছাত্রীরা সমবেত হয়ে দাবি তোলে, নবম শ্রেণি থেকে সর্বনাশা সেমেস্টার প্রথা চালু করা চলবে না, ম্যাট্রিক পরীক্ষাকে অকার্যকর করা চলবে না, চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু করা চলবে না, ব্লেন্ডেড মোড প্রবর্তনের নামে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের গুরুত্বকে লঘু করা চলবে না।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড প্রোজ্জ্বল দেব শিক্ষা ধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০-র প্রতিলিপি দাহ করেন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি পল্লব পেগু। রাজ্য সম্পাদক কমরেড হেমন্ত পেগু বলেন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে সম্পূর্ণরূপে অসফল সেমেস্টার প্রথা এখন নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার পাশাপাশি ম্যাট্রিক পরীক্ষাকে অকার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনুদান দেওয়ার পরিবর্তে ঋণ দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না করার ফলে শিক্ষার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে।
এদিন সংগঠনের রাজ্য কমিটির ডাকে উত্তর লখিমপুর, শিলচর, করিমগঞ্জ, তেজপুর, যোড়হাট, ধুবুরী এবং শালমারাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়। ২৩ আগস্ট নলবারী ও গোয়ালপাড়ায় জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল করার দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।