১২ জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ধী ভবনে অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সম্মেলনে বিজেপি সরকারের খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘এই শিক্ষানীতির ফলে শিক্ষার কেন্দ্রীয়করণ হবে, মার্কিনীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে, বেসরকারিকরণের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে৷’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজে সিবিসিএস নেই, বাৎসরিক পরীক্ষা আছে, সেখানে এদেশে সিবিসিএস কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার যে আন্তর্জাতিকীকরণ করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে আমরা যেন আর এক সাম্রাজ্যবাদের শিকার না হই৷’ প্রসারভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকার বলেন, ‘এই শিক্ষানীতি অত্যন্ত পরিকল্পিত আধিপত্যবাদী নীতি৷ বলেন, ‘গোটা নীতিই স্ববিরোধিতায় ভরা৷ আমাদের উচিত বিপদের প্রতিটি দিক ধরে ধরে বিরোধিতা করা৷’ সহ উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘এই নীতিতে স্কুল শিক্ষা নিয়ে অনেক সমস্যার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সমাধানের কথা নেই৷ এই নীতির ফলে বেসরকারি স্কুল ব্যবস্থা প্রাধান্য পাবে৷’ প্রাক্তন উপাচার্য চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ আমাদের উচিত বিকল্প শিক্ষানীতি সরকারের কাছে হাজির করা৷’ এছাড়া বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মীরাতুন নাহার, অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক অনীশ রায়, অধ্যাপক তরুণ নস্কর প্রমুখ৷ সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়৷ সম্মেলনের মূল প্রস্তাব পাঠ করেন ডঃ মৃদুল দাস ও সম্পাদকীয় রিপোর্ট পেশ করেন কার্তিক সাহা৷ জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া সমেত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর আক্রমণের নিন্দা করে প্রস্তাব পেশ করেন চঞ্চল ঘোষ৷
অধ্যাপক চন্দ্রশেখর চক্রবর্তীকে সভাপতি ও অধ্যাপক তরুণ নস্করকে সম্পাদক করে ১৪৮ জনের নতুন রাজ্য সেভ এডুকেশন কমিটি গঠন হয়৷