নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার প্রতিবাদে অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির আহ্বানে ১৭ জুন কলকাতার আশুতোষ কলেজ হলে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সভাপতি, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী। জনস্বার্থবিরোধী এই শিক্ষানীতিকে প্রতিরোধ করার ডাক দেন তিনি।
অধ্যাপিকা সোমা রায় বলেন, ইতিহাসের সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। হিন্দুত্ববাদী ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে বলা হচ্ছে। আর্যরা এ দেশেরই অধিবাসী, বাইরে থেকে আসেনি, মোগল যুগকে সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে যাতে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা গড়ে উঠবে না ছাত্রদের। সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যে ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেমকে তুলে ধরার কথা বলা হচ্ছে, তার ভিত্তিটাই ভুল। জ্ঞানের কখনও সীমা হয় না। মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণার জন্য অর্থবরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম নিয়ে গবেষণার জন্য যথেষ্ট টাকা দেওয়া হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার প্রথম দিকে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে এ শিক্ষানীতি রূপায়ণে তৎপর হচ্ছে। চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালুর মধ্য দিয়ে পাঁচ ধরনের ডিগ্রিধারী ছাত্র তৈরি হবে। জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াটিই উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যে এই শিক্ষানীতির প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে। আগামী দিনে আরও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র। প্রতিনিধিরা প্রস্তাবকে বিপুল ভাবে সমর্থন জানান।