৯ জুন অল ইন্ডিয়া জন অধিকার সুরক্ষা কমিটির আহ্বানে গভীর আবেগের সাথে ছোটনাগপুর এলাকার জমিদার, মহাজন এবং সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত সশস্ত্র লড়াই ‘উলগুলান’-এর অবিসংবাদী নেতা বিরসা মুণ্ডার শহিদ দিবস পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে এই দিনটি পালিত হল। ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় বিরসা মুণ্ডার জীবন সংগ্রামের উপর অনলাইন আলোচনা হয়। বিরসা মুণ্ডার জীবন সংগ্রাম যেভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সৈনিকদের প্রেরণা জুগিয়েছিল, সেভাবেই বর্তমান সময়ে শোষণ মুক্তির সংগ্রামের সৈনিকদেরও অনুপ্রাণিত করবে এই লক্ষ্যেই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও করোনা অতিমারিতে যেভাবে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন তাদের রোজগারের জন্য কর্মসংস্থানের দাবি উঠেছে। সমস্ত মানুষের বিনা পয়সায় টিকাকরণের ও প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। কোনও আদিবাসী এবং চিরাচরিত বনবাসীদের জঙ্গলের জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। যে সকল জঙ্গলের জমি দখল করে চাষবাস করে গরিব মানুষ রুটিরুজি সংগ্রহ করছেন তাদের সেই জমির পাট্টা দিতে হবে। সকল ভূমিহীনকে বসবাসের জমির পাট্টা দিতে হবে।
খনি, কারখানা প্রভৃতি তৈরির নামে কর্পোরেটদের হাতে জঙ্গল তুলে দেওয়া যাবে না। অল ইন্ডিয়া জন অধিকার সুরক্ষা কমিটি ৩০ জুন থেকে ৭ জুলাই সপ্তাহব্যাপী ‘হুল’ ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ বার্ষিকী পালন করার আহ্বান জানিয়েছে। এই উপলক্ষে ১৯ জুন শহিদ বিরসা মুণ্ডার জীবন সংগ্রাম ও সাঁওতাল বিদ্রোহ ‘হুল’ (৩০ জুন – ৭ জুলাই) বার্ষিকী পালনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন এসইউসিআই(সি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড স্বপন ঘোষ।