কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ব্যয়বহুল পণ্যে পরিণত করে তুলছে। সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে, মানুষ হারাচ্ছেন স্বাস্থ্যের অধিকার। এর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন গড়ে তুলতে বাঁকুড়া হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ জুন সিডিপিও হলে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ডাঃ সুভাষ মণ্ডল। প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ নীলাঞ্জন কুণ্ডু। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ডাঃ বিশ্বনাথ পড়িয়া, গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সজল বিশ্বাস, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক ডাঃ তন্ময় মণ্ডল, হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মী সরকার। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন গ্রামীণ চিকিৎসক, মেডিকেল ছাত্র, মেডিকেল কলেজের কর্মচারী, বিশিষ্ট নাগরিক সহ দেড় শতাধিক মানুষ। পাশের জেলা পুরুলিয়া থেকেও গ্রামীণ চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এর মাধ্যমে যে শুধুমাত্র অপারেশন করা হবে, অন্যান্য চিকিৎসা হবে না, তা নিয়ে আলোচনা করেন ডাঃ নীলাঞ্জন কুণ্ডু। ডাঃ বিশ্বনাথ পড়িয়া বলেন, চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার সকলের আছে। তিনি মেডিকেল এথিক্স নিয়ে আলোচনা করেন। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি নিয়ে প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন ডাঃ সজল বিশ্বাস। ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকার একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মী সরকার সকলকে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানান।