আবর্জনা সংগ্রহের জন্য ফি চাপানো ও ব্যাপক হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ১২ মে বরানগর পৌরসভায় এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন হয়।
সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, বরানগর পৌরসভা বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য পরিবারপিছু মাসিক ২০ টাকা ফি বরাদ্দ করতে চলেছে, যা জঞ্জাল কর চাপানোর সামিল। অথচ পুরসভা যে ট্যা’ সংগ্রহ করে তা থেকেই এই পরিষেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। উপ-পৌরপ্রধানের বক্তব্য অনুযায়ী, কিছু মানুষ সঠিক স্থানে বর্জ্য ফেলছেন না, পৌরসভার নির্দেশ মানছেন না, কিন্তু ফাইন ধার্য করলে নিয়ম মানবে। অথচ যখন কেউ নিয়ম ভাঙে তখন নিয়মভঙ্গকারীকে সামান্য জরিমানা করা হয় তাকে সচেতন করার লক্ষ্যে। কিন্তু কিছু নিয়মভঙ্গকারীর জন্য সকলের উপর তার দায়ভার চাপানোর ভাবনা কেন? এ ছাড়া, নোটবন্দি ও করোনা পরিস্থিতির ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বরানগরের ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের উপর প্রায় ২০০-২৪০ শতাংশ ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়ানো হয়েছে। এই ভাবে জনগণের উপর নানা আর্থিক বোঝা চাপানো হচ্ছে।
বিক্ষোভ সভায় আঞ্চলিক সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। কমরেডস বাণী সিনহা ও গৌর দাসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একপ্রতিনিধিদল চেয়ারপার্সনের কাছে দাবিপত্র দেন। ট্রেড লাইসেন্সের ওপর ২০০ শতাংশ ফি বাড়ানো নিয়ে চেয়ারপার্সন নীরব থাকলেও জঞ্জাল করের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব এবং সর্বদলীয় মিটিং ডাকব।