রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের অধীন চার শতাধিক ছাত্রাবাসের রাঁধুনি, সহকারি রাঁধুনি, দারোয়ান, সুইপার, নাইটগার্ডরা চরম বঞ্চনার শিকার৷ ২০–২২ বছর ধরে তাঁরা মাত্র ৩,৫০০ – ৪,৫০০ টাকা বেতনে কাজ করে চলেছেন৷ ছাত্রাবাসের কর্মী হওয়ায় মাসের সব দিনই রান্নার কাজ সহ অন্যান্য কাজ করতে হয়৷ তাঁদের না আছে কোনও ছুটি, না আছে ন্যূনতম মজুরি, না আছে পরিচয়পত্র৷ তীব্র দারিদ্র, হয়রানি এবং অনিশ্চয়তা তাঁদের নিত্য সঙ্গী৷ পূর্বতন সিপিএম সরকার যেমন এঁদের স্থায়ীকরণ বা বাঁচার মতো মজুরির ব্যবস্থা করেনি, তেমনি তৃণমূল সরকারও এঁদের সম্যসার প্রতি উপেক্ষা দেখিয়ে যাচ্ছে৷ এরই প্রতিবাদে ২০ জুলাই বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্সের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হন তাঁরা৷ তাঁদের দাবি অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে, ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে, সরকারি প্রাপ্য ছুটি দিতে হবে, দারোয়ান কাম নাইটগার্ডদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি বন্ধ করতে হবে, পরিচয়পত্র ও পোশাক দিতে হবে, সমস্ত কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্বে তাঁরা দাবিপত্র পেশ করেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের কমিশনারের হাতে৷ প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দাস, অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ, শশধর মল্লিক, সাবিত্রী হাঁসদা এবং বিশ্বজিৎ পুরকায়েত৷
(৭১ বর্ষ ১ সংখ্যা ৩ আগস্ট, ২০১৮)