কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি দেশের ছাত্রছাত্রী ও তাদের শিক্ষা–প্রতিষ্ঠানগুলি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রকের যোগাযোগ স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেছে এআইডিএসও৷ সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক কমরেড অশোক মিশ্র বলেছেন, এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক যেভাবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের ছাত্রছাত্রীদের ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে যুক্ত করার কথা বলেছে, তা ছাত্রছাত্রীদের নাগরিক অধিকারের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে৷ সরকারের এই পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এক আক্রমণ৷
কেন এই পদক্ষেপ? কমরেড মিশ্র বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে, এই অজুহাত তুলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি সবসময়ই সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে ছাত্রদের দূরে রাখতে চায়৷ এই পদক্ষেপের দ্বারা নজরদারি চালিয়ে সরকার তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অধিকারের উপর দখলদারি কায়েম করতে চাইছে৷ শুধু তাই নয়, এর দ্বারা ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে, তাদের রাজনৈতিক ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত বিশ্বাস সম্পর্কে সংগৃহীত তথ্য ভবিষ্যতে তাদের চাকরি বা অন্য ক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনে দৃষ্টি দেওয়ার কোনও অধিকার সরকার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারওরই নেই৷ কিন্তু সরকারের এইফ্যাসিস্টসুলভ পদক্ষেপ ছাত্রছাত্রীদের এই অধিকারকে পদদলিত করবে৷ এআইডিএসও–র পক্ষ থেকে কমরেড মিশ্র এই পদক্ষেপ প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও আত্মমর্যাদা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দানবীয় পদক্ষেপের কাছে নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷