শারদীয়া উৎসবের মুখে ভেন্ডার (কন্ট্রাক্টর) এফএসএস এক নির্দেশনামা জারি করে রাজ্যের আইডিবিআই ব্যাঙ্কের অফসাইড এটিএম (ব্যাঙ্কের কোনও শাখার সাথে সরাসরি যুক্ত নয় এমন এটিএম)-এ দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ১৪৭ জন কর্মী তথা নিরাপত্তা রক্ষীকে কোনও নিয়ম না মেনেই ছাঁটাই করেছে। দেওয়া হয়নি তাঁদের দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট। পরিণামে পরিবারগুলি পড়েছে অপরিসীম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে।
বলা বাহুল্য, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ভেন্ডার অবৈধভাবে কর্মীদের উপর ছাঁটাইয়ের এই খড়গ নামিয়ে এনেছে। ব্যাঙ্কের খরচ কমাতে যেখানে দুর্নীতি বন্ধ করা এবং অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) কমাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা না করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ নীতি নিয়ে স্বল্প বেতনের গরিব কর্মচারীদের সর্বস্বান্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এই ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে ৬টি ইউনিয়নের যুক্ত মঞ্চ ‘অল বেঙ্গল কন্ট্রাকচুয়াল ওয়ার্কার্স ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে ২১ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ইস্টার্ন জোনাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ হয়। ব্যাঙ্কের সিজিএম (জোনাল হেড) এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আবার ১৯ এবং ২০ অক্টোবর জোনাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ হয়। এই কর্মসূচিতে ছাঁটাই-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দেন। উৎসবের কয়েক দিন বিরতির পর আবার ৩০ অক্টোবর শত শত ব্যাঙ্ককর্মী ব্যাঙ্কের মূল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান। এর ফলে ৮ নভেম্বর হেড অফিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের আলোচনার দিন ঠিক হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ রায়মণ্ডল (আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কন্ট্র্যাক্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, পশ্চিমবঙ্গ), নারায়ণচন্দ্র পোদ্দার (কন্ট্র্যাকচুয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম, পশ্চিমবঙ্গ), সুব্রত দাস (ওয়েস্ট বেঙ্গল সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যালায়েড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন), অভিজিৎ মণ্ডল (ব্যাঙ্ক কন্ট্র্যাকচুয়াল অ্যান্ড কন্ট্র্যাক্ট ওয়ার্কমেন ইউনিয়ন), মৃন্ময় ধর (ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্টরস সিকিউরিটি গার্ড অ্যান্ড মেন্টেনেন্স লেবার ইউনিয়ন), গৌরীশঙ্কর দাস (ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল), ইন্দ্রনীল মজুমদার প্রমুখ।