কয়েক শত সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সমস্ত শূন্য পদে অবিলম্বে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দাবিতে এআইডিএসও-র নেতৃত্বে ছত্তিশগড় জুড়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি ছত্তিশগড় সরকার এক সার্কুলার জারি করে প্রাথমিক স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক ও ৬০ জন ছাত্র পিছু একজন সহকারী শিক্ষক এবং মাধ্যমিক স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক ও ১০৫ জন ছাত্র পিছু তিনজন সহকারী শিক্ষক থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। এর আগের সরকারি সার্কুলারে প্রাথমিক স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক ও প্রতি ৬০ জন ছাত্র পিছু দু’জন সহকারী শিক্ষক, মাধ্যমিক স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক ও ১০৫ জন ছাত্র পিছু চারজন সহকারী শিক্ষক থাকার উল্লেখ ছিল। এমনিতেই রাজ্যের ৪৫৯৫টি স্কুল বাড়ি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে, ৫৩৯২টি সরকারি স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা কেবলমাত্র একজন, ৬১০টি স্কুল শিক্ষকবিহীন, ৫৬ হাজার ২৩২টিরও বেশি শিক্ষক পদ শূন্য। প্রয়োজন যখন ছিল পরিকাঠামোর উন্নয়ন, শূন্যপদে নিয়োগ এবং নতুন পদ সৃষ্টি করে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার, তখন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদ বিলোপ করে বাস্তবে সরকারি স্কুলগুলিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হল। এর আগে ২০২৪ সালে রাজ্য সরকার একই পরিকল্পনা করেও ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের ব্যাপক বিক্ষোভের চাপে পড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এবারেও শিক্ষা ধ্বংসকারী এই সরকারি নীতির বিরুদ্ধে দুরগ, রায়পুর, ধমতরী, গরিয়াবান্দ এবং বিলাসপুরে এআইডিএসও-র নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। জেলায় জেলায় পোড়ানো হয় সরকারি সার্কুলার, জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ১৮ এপ্রিল ২০২৫ এ প্রকাশিত