সুপ্রিম কোর্টে সিপিএম সরকার সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সহ হলফনামা দিল সিবিআই৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধেদেব ভট্টাচার্যের সময়ে রাজ্য সরকারকে চিটফান্ড নিয়ে রীতিমতো ‘সতর্ক’ করে দিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু রাজ্যের বাম সরকার সেই সতর্কতাকে আমল দেয়নি৷ ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা একটি চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট পেয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ সেই নোটে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, বনগাঁ সাবডিভিশনে বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থা কীভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলছে৷ তারা বিশাল অঙ্কের টাকা ফেরত পাওয়ার লোভ দেখিয়ে, ৮, ১২, ১৩, ১৫ ও ২৪ মাসের মেয়াদি আমানত জোগাড় করছে সাধারণ মানুষের থেকে৷ এর মধ্যে সারদা, রোজভ্যালি, অ্যালকেমিস্টের মতো বড় সংস্থার কথাও যেমন জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা, তেমনই জানানো হয়েছিল ফাইন ইন্ডিয়া, বাসিল, পপুলার ইন্ডিয়া, মঞ্জুলিকা ফিনান্স লিমিটেড, শুভম কাল্টিভেশন, গোল্ডেন পরিবার, মানি ভাণ্ডার, রুপি স্টার প্রভৃতির মতো ছোট চিটফান্ড সংস্থার কথাও৷ সতর্কতা বার্তায় সারদা গোষ্ঠীর নাম ছিল৷ ২০০৯–তেই সতর্কবার্তা পাঠানোর পরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ ১৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় সিবিআইয়ের তরফে এই অভিযোগ করছেন সংস্থার কলকাতা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস পি পি সি কল্যাণ৷
(এই সময়– ২১.০২.২০১৯)