অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে দু’হাজারের বেশি এজেন্ট ও আমানতকারী অংশ নিলেন জনশুনানিতে৷ ২ মার্চ হাওড়ার শরৎ সদনে এই জনশুনানি পরিচালনা করেন সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মলয় সেনগুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমলকুমার চ্যাটার্জী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা সুজাত ভদ্র এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক কিষান প্রধান৷
হলের ভিতরে এবং বাইরেও উপচে পড়া জমায়েতের পক্ষ থেকে ২৭ জন আমানতকারী ও এজেন্ট এবং ৫টি কোম্পানির ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা নথিপত্র পেশ করে তাঁদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন৷ তাঁরা বলেন, প্রাইস চিট ও মানি সারকুলেশন প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আইনগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি প্রভৃতি কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন প্রয়োগ করেনি, রাজ্য সরকারগুলিও তার দায়িত্ব পালন না করে তাতে মদত দিয়েছে৷ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ১০৪টি চিটফান্ড কোম্পানি প্রতারণা করেছে বছরে পর বছর৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সব জেনে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল৷ তার ফলেই দেশের নানা রাজ্যের ৩৫ কোটি মানুষ সর্বস্বান্ত হলেন৷ লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় হতে পারল৷ তদন্তের নামে অনেক প্রহসন হলেও একজন অপরাধীরও শাস্তি হল না৷ শুনানিতে এই কেলেঙ্কারির নায়ক কোম্পানি মালিক, মন্ত্রী ও নেতাদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে৷
শুনানির পরিচালক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত সকলকে বলেন, ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ সময় শুনানিতে তাঁরা থাকবেন৷ তাঁদের সুপারিশ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকাকরকে পাঠানোর কথাও তাঁরা বলেন৷