১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রূপম চৌধুরী বলেন, সামগ্রিক চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে সেবি, ইডি, রাজ্য সরকার ও কোম্পানিগুলো হাইকোর্ট নিয়োজিত কমিশনকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছিল৷ বিগত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা দেশের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি নিয়ে উপরোক্ত সংস্থাগুলি এ রাজ্যে ও সারা দেশে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং কত পরিমাণ টাকা এরা জনগণ থেকে তুলেছে তার প্রকৃত তথ্য পেশ করেনি৷ আমরা সাংবাদিকদের অবগতির জন্য তথ্যগুলি দিয়েছি৷ এগুলি প্রাথমিক তথ্য৷ ভবিষ্যতে আরও তথ্য দেব৷ সেবি দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে কেন তৎপর হল না তার তদন্ত দাবি করছি৷ পত্রপত্রিকায় ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ম্যাচিওরিটি হওয়া সার্টিফিকেট আমানতকারীদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের সাদা কাগজে রিসিভিং স্লিপ দেওয়া হয়েছে৷ এটাও আর একটা প্রতারণা৷ আমরা এরও তদন্ত চাইছি৷ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়৷ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, কর্পোরেট মন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠানো হয়৷ ওই কপি মুখ্যমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছে৷
পরবর্তী কর্মসূচি : অঞ্চলপ্রধান, সভাপতি, সভাধিপতি, জেলা পরিষদ, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কর্পোরেশনের মেয়রদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে৷ একইভাবে এমএলএ–এমপি দের স্মারকলিপি দেওয়া হবে৷ এরই সাথে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ব্লক, থানা, মহকুমা, জেলাস্তরে ডেপুটেশন, কনভেনশন সংগঠিত হবে৷ আগামী ২ মার্চ রাজ্য স্তরে জনশুনানির কর্মসূচি হবে৷ মাননীয় প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, মানবাধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই শুনানি পরিচালনা করবেন৷