১৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ জানায়, সারদা অর্থ লগ্নি সংস্থার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে এখনও ১৩৮ কোটি টাকা কোষাগারে পড়ে রয়েছে। এই টাকা কীভাবে বণ্টিত হবে তা জানতে চেয়ে বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিতে বলেছেন। হাইকোর্টের এই মতামত ও নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রূপম চৌধুরী বলেছেন, শুধু সারদা নয়, সমস্ত কোম্পানির ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরতের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। ছত্তিশগড় ও ওড়িশা সরকার যদি এ দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পারবে না কেন? তিনি আরও বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা ক্ষমতাসীন হলে ১২০ দিনের মধ্যে চিটফান্ড সমস্যা সমাধান করবেন। এক বছর হতে চলল, এখনও কোনও পদক্ষেপ হল না।
চিটফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা নিয়ে এই সংগঠন লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ৬ মার্চ কলকাতায় এক জনশুনানির আয়োজন করে তারা। আড়াই হাজারের বেশি প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। জনশুনানি পরিচালনা করেন অধ্যাপক সুজাত ভদ্র, ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, লিগ্যাল সার্ভিস সেন্টারের সভাপতি আইনজীবী ভবেশ গাঙ্গুলী এবং হাইকোর্টের আইনজীবী জায়েদ হোসেন।
ওড়িশা, আসাম ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। ৯টি রাজ্যের ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে রূপম চৌধুরী ও দিল্লির দিলবার সিংকে আহ্বায়ক করে সারা ভারত প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়েছে।