২১ এপ্রিল চন্দননগরে শতাধিক মানুষ যোগ দিলেন মিছিলে৷ সমস্ত চিটফান্ডের আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে ফেরত, দোষীদের শাস্তি ও এজেন্টদের নিরাপত্তার দাবি তুললেন তাঁরা৷ মিছিল শেষে বৃষ্টির মধ্যেও এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের হুগলি জেলা সম্পাদক অমিতা বাগ ও রাজ্য সভাপতি রূপম চৌধুরী৷
তাঁরা বলেন, ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে বাধ্য করতে হবে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে৷ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলছে৷ চিটফান্ডের মতো গুরুতর জীবনমরণ সমস্যাকে ২০১৪ সাল থেকে ইস্যু বানিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো অসহায় আমানতকারীদের দাবার চালের মতোই ক্ষমতায় যাওয়ার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে৷ কিন্তু মূল সমস্যা অর্থাৎ প্রতারিতদের টাকা ফেরত এবং এজেন্টদের আত্মহত্যা আটকানোর কোনও বাস্তবোচিত পথের সন্ধান কেউ করছেন না৷ আদালত টাকা ফেরতের রায় দিয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য কোনও সরকারই তা কার্যকর করছে না৷ বিভিন্ন চিটফান্ড কোম্পানির কৃতকর্মের দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–মন্ত্রী–আমলারা চিটফান্ড থেকে যে বিপুল পরিমাণে টাকা কামিয়েছেন তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে৷
তদন্তের নামে দুই সরকারের মধে দড়ি টানাটানি দেখে বহু এজেন্ট–আমানতকারী আজ হতাশাগ্রস্ত৷ ইতিমধ্যে তিন শতাধিক আমানতকারী ও এজেন্ট আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন৷ পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় নেতৃবৃন্দ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন, যা আমানতকারী ও এজেন্টদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে৷