আপনাদের কাগজে (‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে…’, ৭৪-৪২ সংখ্যা) ফুটে ওঠা চা শ্রমিকদের অনন্ত কালের জীবন-যন্ত্রণা পড়ে মনটা ভারী হয়ে উঠল। আমরা যারা উত্তরবঙ্গের সৌন্দর্য উপভোগে বেড়াতে যাই, তাদের কাছে শ্রমিকদের এইসব দৈনন্দিন খুঁটিনাটি অধরাই থেকে যায়। কবে যে এই সব গরিব-গুর্বো শ্রমিকরা বাঁচার মতো ন্যূনতম সুযোগ পাবেন তা ভাবতেই পারছি না। এঁদের না আছে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য, না জীবনের অন্য কিছু বৈচিত্র্য। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসার সামান্য চাহিদাটুকুও পূরণ না করে এ দেশের মালিক শ্রেণি শুধুমাত্র লাভের আশায় এদের চরম প্রতারণা করে আসছে যুগের পর যুগ। এরাও বংশপরম্পরায় অদৃষ্টের লিখন ধরে নিয়ে হাসি মুখে সব সহ্য করে আসছেন। সত্যিই, ‘ছোটা আদমী’-দের কথা কারাই বা শুনবে?
এই সময়ে এনবিটিপিইইউ-এর নেতৃত্ব যৌথভাবে আন্দোলনে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে শুরু করার কাজকে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন। নূ্যনতম মজুরির চাহিদার সাথে অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে আন্দোলনের অগ্রগতি জানার সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।
সুনন্দ ভট্টাচার্য, কলকাতা-৩৪