চা–বাগান অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্র ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার৷ ২৯ মার্চ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভা করলেন৷ কিন্তু চা–বাগিচা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে একটি কথাও বললেন না৷ এই চা শিল্পের মালিকরা মাঝে মাঝেই নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছামতো লকআউট ঘোষণা করে৷ হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে পথে বসে৷ অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে থাকতে অপুষ্টিতে ধুঁকে ধুঁকে কত শ্রমিক মারা যায়৷ কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই মালিকদের এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না৷ শ্রমিক পরিবারগুলির অভাবের সুযোগ নিয়ে বাইরে কাজ দেওয়ার নাম করে কত মেয়ে পাচার–বিক্রি হয়ে যায়৷
এখানকার অর্থনীতির প্রাণ কেন্দ্র চা–বাগান৷ শিল্প বলতে এটাই৷ কিন্তু শিল্পের যারা আসল চালক সেই শ্রমিকদের নেই কোনও নিরাপত্তা৷ নেই ন্যায্য মজুরি৷ পিএফ, গ্র্যাচুইটি, ইএসআই–এর টাকাও মেরে দিয়ে মুনাফা বাড়াচ্ছে মালিকরা৷ সরকার এদেরই চৌকিদার৷ ‘শোষণের শৃঙ্খল ছাড়া শ্রমিকদের হারানোর কিছু নেই’ জানলেই তো শুধু মুক্তি মেলে না৷ চাই সচেতনতা এবং সংগঠনশক্তি৷ সিপিএম–আরএসপি দীর্ঘকাল এদের ভোট নিয়ে এমএলএ, এমপি হয়েছে, শোষণ মুক্তির দিশা দেখায়নি৷ আদর্শগত চেতনার এই ঘাটতির পথ ধরেই নানা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এখানে মাথা তুলছে৷ আবার ষড়যন্ত্র চলছে এঁদের ভোট লুঠ করে এমপি–মন্ত্রী হওয়ার৷ এ সবের বিরুদ্ধে সংগ্রামী বামপন্থার ঝান্ডা নিয়ে এস ইউ সি আই (সি) প্রার্থী কমরেড রবিচন রাভা ভোটের প্রচারে নেমেছেন৷ তাঁর প্রতীক টর্চ লাইট৷ চা–শ্রমিকদের দাবিগুলি সহ শ্রমিক–কৃষক–ছাত্র নানা অংশের দাবিগুলি তিনি যেমন পার্লামেন্টে তুলে ধরবেন, তেমনই পথে নেমে গণআন্দোলনও গড়ে তুলবেন– জনগণের কাছে এই তাঁর শপথ৷