ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে বাজেটের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ

 

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রকল্প ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর জন্য বহু প্রতীক্ষিত বরাদ্দ এ বারও কেন্দ্রীয় বাজেটে হল না। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ঘাটালে প্রতিবাদ মিছিল ও বাজেটের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রতিলিপিতে আগুন দেন কমিটির সহ সভাপতি সত্যসাধন চক্রবর্তী।

কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি বলেন, কয়েক মাস আগে ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটি’র ছাড়পত্র দেখিয়ে কেন্দ্রীয় শাসক দলের রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ঘাটালে এসে শোরগোল ফেলে দেন, মাস্টার প্ল্যানে অর্থমঞ্জুর হয়ে গেছে, কাজ শুরু অপেক্ষা মাত্র। অথচ কোনও বরাদ্দ ঘোষণাই হল না। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অতি দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করার দাবি করছি।

সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি সহ বিধানসভার সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল দিল্লিতে পাঠানো ও রাজ্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে শিলাবতী এলাকায় নদী ও খাল সংস্কারে হাত দেওয়ার দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি ঘাটাল যোগদায় বন্যায় ভুক্তভোগী মানুষের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ছিলেন ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরা। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বন্দর ব্রিজ নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির সভাপতি বলাই চন্দ্র পাড়ুই।

সম্মেলনে সেচমন্ত্রী, জলসম্পদমন্ত্রী, পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী, নদী বিশেষজ্ঞ ডঃ কল্যাণ রুদ্র প্রমুখ বিশিষ্টদের প্রেরিত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করে শোনান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। আন্দোলন সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন-খরা প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী গৌরীশঙ্কর বাগ। সম্মেলনে দুই মেদিনীপুর জেলার তেরোটি ব্লকের তিন শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে মার্চে ঘাটালে গণঅনশন এবং কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। সম্মেলন থেকে ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরাকে সভাপতি, নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতিকে যুগ্ম সম্পাদক, কানাইলাল পাখিরাকে অফিস সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের এলাকাধীন শিলাবতী নদী ও তার শাখা খালগুলি আগামী বর্ষার পূর্বে সংস্কারের জন্য রাজ্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।