নন–রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের সরকারিভাবে নাম নথিভুক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে স্বীকৃতি, সরকারি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় তাঁদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৮ মার্চ প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (পিএমপিএআই) নবান্ন অভিযান করে৷ রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে পাঁচ সহস্রাধিক চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন৷ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল আসে রানি রাসমণি রোডে৷ নবান্নে এবং স্বাস্থ্য ভবনে দাবিপত্র পেশ করা হয়৷ সভাপতি যুগল পাখিরা ও উপদেষ্টা ডাঃ অংশুমান মিত্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী৷ ন্যাশনাল হেলথ মিশন–এর মিশন ডিরেক্টরের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর৷
সমস্ত দাবির যৌক্তিকতা তাঁরা স্বীকার করেন৷ পরিষেবার অপরিহার্যতা মেনে নিয়ে উভয়ই স্বীকার করেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদকে সমাজের প্রয়োজনে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যথাযথ প্রয়োগের কোনও সরকারি নীতি এখনও পর্যন্ত নেই৷ এ কাজে পিএমপিএআই সংগঠনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও মতামত গ্রহণ করতে তাঁরা সম্মত হন৷
পিএমপিএআই–এর মুখ্য উপদেষ্টা ডাঃ তরুণ মণ্ডল, জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ডাঃ অশোক সামন্ত, ডাঃ বিশ্বনাথ পাড়িয়া এবং সংগঠনের রাজ্য ও জেলা নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন৷
সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, জুন মাসের মধ্যে নাম নথিভুক্তিকরণের সমস্ত বে–নিয়ম, ভুল–ভ্রান্তি সংশোধন করে, জনমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়ন এবং সারা রাজ্যে ইনফর্মাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের প্রতিটি ব্লকস্তরে যথাযথ প্রশিক্ষণ শুরু না করলে উচ্চতর পর্যায়ে আন্দোলন নিয়ে যাওয়া হবে৷